একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুরুপের তাস ছিল ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচী। গতবছর থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচী ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে রাজ্যবাসীর কাছে। এবার মমতার স্বপ্নের ‘দুয়ারে সরকারে’র জানুয়ারি মাসের শিবিরে আরও দু’টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করছে নবান্ন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, খাদ্যসাথী, এসসি-এসটি সার্টিফিকেট, কৃষকবন্ধুর মতো ১৮টি প্রকল্পের সঙ্গে মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড এবং আর্টিজান ক্রেডিট কার্ড যুক্ত হচ্ছে। দুয়ারে সরকার শিবিরে এসে সরাসরি ওই দু’টি কার্ড পাওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করা যাবে। নথিভুক্তরা ওই দু’টি কার্ড পাবেন।
প্রসঙ্গত, একেবারে মানুষের দুয়ারে যাতে সরকার পৌঁছে যেতে দুয়ারে সরকার শিবির চালু করেছিলেন মমতা। গত বছর থেকে তা চালু হয়। প্রথমবারের শিবিরে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড এবং পরের শিবিরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের চাহিদা তুঙ্গে ওঠে। শিবিরগুলিতে মানুষকে দীর্ঘসময় লাইন দিয়ে নাম নথিভুক্ত করাতে দেখা যায়। আর তা দেখেই মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন, ফের জানুয়ারি মাসে দু’দফায় দুয়ারে সরকার শিবির করা হবে। প্রথম দফায় ২-১০ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় দফায় ১০-২০ জানুয়ারি। রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান দফতর থেকে সব জেলাশাসক এবং সব দপ্তরের প্রধান সচিবকে নির্দেশ পাঠিয়ে দু’দফায় শিবির করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
সেই সঙ্গে নির্দেশে বলা হয়েছে, শিবিরে যে সমস্ত আবেদন জমা পড়বে তা ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান কন্যাশ্রী, রূপশ্রী ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড ও আর্টিজান ক্রেডিট কার্ড শিবির থেকে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। হাওড়া জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর জন্য সব জেলাশাসক ও দপ্তরের প্রধান সচিবের সঙ্গে দুয়ারে সরকার শিবির নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দুয়ারে সরকার শিবির করতে হবে। যেখান থেকে ২০টি পরিষেবা দেওয়া হবে।