কিছুদিন ধরেই উত্তার সংসদ। সোমবারই রাজ্যসভা ১২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করেছে। শীত অধিবেশনে তাঁরা যোগ দিতে পারবেন না। অভিযোগ, সংসদের গত বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে তাঁরা উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেছিলেন। এরপরই ১২ জন সাংসদের সাসপেনশন ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিরোধীরা। সংসদের বাইরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান।
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এদিন বলেন, সরকার বরখাস্ত হওয়া সাংসদের মধ্যে একটি ‘বিভাজন’ তৈরি করার চেষ্টা করছে। একটি সংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সরকার ১২ জন রাজ্যসভার সাংসদকে বরখাস্ত করেছে এবং এখন ক্ষমতাসীন দল তাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা করছে। আমি জানি দুই বরখাস্ত সাংসদকে সরকারের পক্ষ থেকে আলাদাভাবে ডাকা হয়েছিল কিন্তু তারা যাননি। আমি তাঁদের সিদ্ধান্তে অটল থাকার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই’।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার ক্ষমা চাইছে, অথচ আমি বিশ্বাস করি যে বিল পাশ করার জন্য এবং কোনও বিল নিয়ে আলোচনার অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য ক্ষমা চাওয়া সাংসদদের প্রাপ্য। জাতির জনগণের কাছে সরকারের ক্ষমা চাওয়া প্রয়োজন’।
আগে, ১২ সাংসদের বরখাস্তের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেছিলেন যে তারা যদি ঘরে ফিরতে চান তবে তাদের অনুশোচনা করা উচিত। তিনি আরও বলেন, ‘তাঁদের ধর্নায় বসতে দিন…আমি প্রার্থনা করি মহাত্মা গান্ধী তাদের বুদ্ধি দেন’। তৃণমূলের সাংসদ শান্তা ছেত্রী পাল্টা বলেন, ‘সাংসদদের সাময়িক বরখাস্ত করা সংখ্যাগরিষ্ঠদের ঔদ্ধত্যের পরিচয় দেয়। তারা যখন বিরোধী দলে ছিল তারাও সংসদের কার্যক্রম ব্যাহত করতেন। ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের ধর্না চালিয়ে যাব’।