দলে আগে আসা শিল্প-সংস্কৃতির সেলিব্রিটিরা নিষ্ক্রিয়। দলের সঙ্গে বেশিরভাগই দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন। দল ডাকে না বলে কেউ অভিমানে আসছেন না। কেউ কেউ আবার টলিউডে সিরিয়ালের কাজেই বেশিরভাগ সময় ‘ব্যস্ত’। অর্থাৎ কলকাতা পুরভোটে এবার গেরুয়া শিবিরের প্রচার কার্যত সেই অর্থে তারকাহীন। কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে তারকা প্রচারকদের তালিকাই এখনও প্রকাশ করতে পারল না বঙ্গ বিজেপি।
গত বিধানসভা ভোটের আগে যে তারকারা বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন, তাঁদের অনেকেই দলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেছেন। কিন্তু তার আগে অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচন কিংবা তারও আগে ২০১৬-র বিধানসভা ভোটের সময় থেকে যেসব টলিউডের কলাকুশলীরা বিজেপিতে এসেছিলেন, তাঁদেরও আর সক্রিয়ভাবে দেখা যাচ্ছে না। দলে এতদিন সক্রিয় থাকা তিন সেলিব্রিটি সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়, রিমঝিম মিত্র ও কাঞ্চনা মৈত্রদের সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগ রাখেনি দল। অনেক আগে বিজেপিতে এসেছিলেন টিভির পর্দায় পরিচিত মুখ সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগেই দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি নেন সুমন। যদিও তিনি এখনও দলেই আছেন।
সুমনের বক্তব্য, ‘কলকাতায় ভোট প্রচারের জন্য দলের তরফে কেউ যোগাযোগ করেনি। তাই আমিও কোনও আগ্রহ দেখাইনি’। অভিনেতার কথায়, এবার কলকাতা পুরভোটে অভিনয় জগৎ থেকে কয়েকজন তাঁদের নিজস্ব ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। তবে দল তা করেনি। যে প্রার্থী তালিকা তৈরি হয়েছে, সেটা খুব একটা ঠিকঠাক নয় বলেই মনে করছেন তিনি। দলের যুব মোর্চার সম্পাদক ছিলেন অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্র। দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে তাঁকে দেখা যেত। এখন দলের সঙ্গে দূরত্ব রেখে চলছেন রিমিঝিম। তাঁর বক্তব্য, “মনে হয় আমাদের মতো পুরনোদের প্রয়োজন নেই দলের। তাই দূরে থাকাই ভাল।
তবে শুধু এই তিনজন তারকাই নন, অঞ্জনা বসু, রূপাঞ্জনা থেকে শুরু করে মৌমিতা গুপ্ত, বিজেপিতে থাকা টলিউডের এই পরিচিত মুখদের কলকাতা পুরভোটের প্রচারে কেন কাজে লাগানো হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরে।