অবশেষে চা শ্রমিকদের দীর্ঘ দিনের দাবি মিটতে চলেছে। যা নিয়ে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে এসেছেন চা শ্রমিকেরা। বনধও হয়েছে চা শিল্পে। কয়েক দফায় দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক বৈঠকও হয়েছে। একের পর এক বৈঠক থেকেও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। তবে শুক্রবার আশার আলো দেখালেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী। বেচারাম মান্নার দাবি, জট কেটেছে। এখন শুধুই অপেক্ষা। জানুয়ারিতেই উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিকেরা ন্যূনতম মজুরির আওতায় আসবেন।
প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। অপেক্ষা শুধু কয়েকটা দিনের। পুজোর আগে যেমন মৃণ্ময়ী প্রতিমার শেষে হয় চক্ষুদান, এই প্রক্রিয়াও সেই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে। আজ দার্জিলিং সার্কিট হাউসে পাহাড়ের দুই জেলা দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ের দপ্তরের কর্তাদের নিয়ে রিভিউ মিটিং শেষে একথা জানান রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না।
প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন ধরেই ন্যূনতম মজুরির ইস্যুতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন চা শ্রমিক সংগঠনগুলো। এমনকী চা শিল্পে ধর্মঘটও হয়েছে। সেইসঙ্গে মন্ত্রী জানিয়েছেন, উত্তরের পাহাড়, তরাই এবং ডুয়ার্সে এই মূহূর্তে ১৪টি বাগান বন্ধ রয়েছে। দ্রুত বন্ধ বাগানের দরজা খোলার বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। শীঘ্রই প্রথম পর্যায়ে ৭ থেকে ৮টি বাগান খোলার প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে পাহাড়েই রয়েছে ৬টি বন্ধ চা বাগান। এক সপ্তাহের মধ্যেই ১টি বাগান খুলে যাবে। ফের কাজে যোগ দেবে শ্রমিকেরা।
পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বাগান শ্রমিকদের নিয়ে ফেব্রুয়ারিতে ‘টি গোল্ড কাপের’ আয়োজন করা হচ্ছে। চারটি জোনের ফুটবল প্রতিযোগিতার দায়িত্বে থাকবে আইএফএ। দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার এই চার জোনে চারটি করে দল খেলবে। সব মিলিয়ে ১৬টি দল অংশ নেবে এই গোল্ড কাপে। ফুটবলের জনপ্রিয়তা বাড়ানো এবং চা বলয়ের ফুটবল প্রতিভা তুলে আনাই এর লক্ষ্য। মন্ত্রী এদিন আরও জানান, শ্রম দপ্তরের পাহাড়ের অফিসে কর্মী সংখ্যা অপ্রতুল। তা মেটানো হবে। এবং কাজে গতি আনা হবে। চা শ্রমিকদের সরকারি সুযোগ, সুবিধেরও আওতায় আনা হবে বলে মন্ত্রী জানান।