শুক্রবারই কংগ্রেসকে তোপ দেগে সম্পাদকীয় প্রকাশ হয়েছিল ‘জাগো বাংলা’য়। হাত শিবির ডিপ ফ্রিজে চলে গিয়েছে বলে কটাক্ষ করা হয়। এবার সিপিআইএম-কে তোপ দাগল তৃণমূল। গত দশ বছরে বামেদের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ‘জাগো বাংলা’য় লেখা হল ‘জাদুঘরে সিপিএম’।
রাজ্য থেকে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে বামেরা। জাতীয় রাজনীতিতেও আজ তারা অপ্রাসঙ্গিক। বিধানসভা থেকে লোকসভা- সব লড়াইতেই তাদের নিট ফল শূন্য। এই বিষয়টা তুলে ধরে শনিবার তৃণমূলের মুখপত্রে লেখা হয়, ‘২৩৬ থেকে এখন তারা আক্ষরিক অর্থেই শূন্য। বিধানসভায় শূন্য। লোকসভায় শূন্য। কলকাতা পুরনির্বাচন শেষ হলে সেখানেও বিগ জিরো নিশ্চিত। পঞ্চায়েতেও ঘটনার পুনরাবৃত্তি’।
শুধু তাই নয়, খোঁচা দিয়ে বলা হয়েছে, নিজেদের নাম জাদুঘরে খোদাই করে রাখার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে বামেরা। সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘কলকাতার ধর্মতলা চত্বরে প্রায় শতাব্দীপ্রাচীন বহু বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে একটি সাদা বাড়ি, যাকে কলকাতার মানুষ জাদুঘর হিসেবেই জানেন।… সেই জাদুঘরেই নিজেদের নাম খোদাই করে রাখার জন্য চ্যালেঞ্জ নিয়েছে রাজ্যের বামেরা’।
আসন্ন পুরভোটে একক ভাবে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েও বেশ কিছু আসন ছেড়ে রেখে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের রাস্তা খুলে রেখেছে বামেরা। সেটা নিয়েও খোঁচা দেওয়া হয়েছে ‘জাগো বাংলা’য়। লেখা হয়েছে, ‘কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে ভরাডুবির পরেও সিপিএম নেতাদের চেতনার এতটুকুও পরিবর্তন হয়নি। শরিকদের হুমকি উপেক্ষা করে কংগ্রেসের জন্য বেসরকারি ভাবে আসন ছেড়ে নিজেদের জেদ বজায় রেখেছে। জেদের রেজাল্ট আলিমুদ্দিনও জানে, জানে বিধানভবনও’।