পাকিস্তানের দূষিত হাওয়ার কারণে বিষাক্ত হয়ে উঠছে দিল্লীর বাতাস! এবার ভর্ৎসনার মুখে পড়ে সুপ্রিম কোর্টে এমনই সাফাই গাইল উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। তাদের দাবি, উত্তরপ্রদেশের কারখানাগুলির থেকে নির্গত ধোঁয়ার সঙ্গে নাকি দিল্লী দূষণের কোনও সম্পর্কই নেই! এই যুক্তি শোনার পরেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, ‘ তবে কি আপনারা চান আপরা পাকিস্তানকে ইন্ডাস্ট্রি ব্যান করার কথা বলি?’
দিল্লী দূষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিল রাজ্য এবং কেন্দ্র। এরপর তড়িঘড়ি বৃহস্পতিবার স্কুল বন্ধ রাখার কথা জানায় কেজরিওয়াল সরকার। শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দিল্লীর স্কুল বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছিলেন দিল্লীর পরিবেশ মন্ত্রী। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই দিল্লী দূষণ নিয়ে রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা বলেছিলেন, ‘কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। দূষণ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে… শুধু সময় নষ্ট হচ্ছে’।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে রাজধানীর দূষণ মাত্রাছাড়া। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দিল্লির পরিস্থিতির উপর সার্বিকভাবে নজরদারি চালিয়েছিল আদালত। তারপরেই সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে ১ দিনের সময় দিয়েছিল দূষণ নিয়ন্ত্রণে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গতকাল দিল্লী সরকারকে ভর্ৎসনা করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘তিন, চার বছরের ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাচ্ছে আর প্রাপ্ত বয়স্করা ঘর থেকে কাজ করছে! আমার মনে হয় সরকার পরিচালনার কাজে আদালত এক জন প্রশাসন নিয়োগ করলেই ভাল হবে।’
দিল্লী সরকারের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, ‘সরকার অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থাও রেখেছে। সকলকে বাধ্যতামূলক ভাবে স্কুলে আসতে বলা হয়নি।’ এরপর প্রধান বিচারপতি রামানা বলেন, ‘অফলাইন ক্লাসের সুযোগ থাকলে কে বাড়িতে বসে থাকবে? আমাদের বাড়িতেও সন্তান আছে, নাতি-নাতনিরা রয়েছে। আমরা দেখেছি অতিমারী পরিস্থিতিতে বাড়ি বসে থেকে থেকে তারা কতটা অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তারা কেউ বাড়িতে বসে থাকতে রাজি নয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরকার পদক্ষেপ না করলে আদালত আগামী কাল কড়া পদক্ষেপ করবে।’ এরপরেই স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেজরি সরকার।