বিগত ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের পর থেকে সংসদের বিভিন্ন রাজনৈতিক যুদ্ধে নীরবে মোদী সরকারকে সমর্থন জুগিয়েছে কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি (টিআরএস)। নানা বিষয়ে ভোটাভুটির সময়েও গত কয়েক বছর গেরুয়াশিবিরের পাশেই থেকেছে টিআরএস। চলতি শীতকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার, দীর্ঘদিন পরে বিজেপি-বিরোধী বৈঠকে সক্রিয় হতে দেখা গেল টিআরএসকে। মঙ্গলবার সকালে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খড়্গের ঘরে গেলেন টিআরএস সাংসদ কে কেশব রাও। বুধবার লোকসভায় কৃষকদের দাবিদাওয়া নিয়ে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ওয়েলে নেমে স্লোগানও দিতেও দেখা গেল টিআরএস সাংসদদের। বিরোধীদের যৌথ বিবৃতিতে সই করলেন কেশব রাও।
স্বাভাবিভাবেই রাজনৈতিক মহলে উঠেছে নানান প্রশ্ন। হঠাৎই এই হাওয়া বদল কেন? এক সময়ে চন্দ্রশেখর রাও তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেডি’র মতো দলগুলিকে নিয়ে একটি অকংগ্রেসি ব্লকের কথা বলতেন। রাজনৈতিক কারবারিদের মতে, চন্দ্রশেখর রাওয়ের রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। ইউপিএ’র জোটসঙ্গী হিসেবে অন্ধ্রপ্রদেশের দ্বিখণ্ডণে বড় ভূমিকা নেওয়ার পরে কিছুটা নাটকীয় ভাবেই ২০১৪ সালে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ভোটে লড়েন। লোকসভা এবং বিধানসভার ভোটে তেলেঙ্গানা কংগ্রেসকে নিশ্চিহ্ন করে দেন। রাজনৈতিক সূত্র অনুযায়ী, যিনি মোদী সরকারের কাছ থেকে বিবিধ সুবিধে আদায় করেছেন, আবার দু’দিন পরে পদ্মশিবিরের ধিকে ঝুঁকে যেতে পারেন। তবে সূত্র জানাচ্ছে, আজ যে চন্দ্রশেখর রাও সনিয়া গাঁধীর দলের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন, তার কারণ তেলেঙ্গনার রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা। চন্দ্রশেখর রাওয়ের সরকারের সঙ্গে তেলেঙ্গানায় ক্রমশ সংঘাত বাড়ছে বিজেপির।