নানা সময়ে নানা অদ্ভূত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে আসা কঙ্গনা রানাউত আর বিতর্ক যেন সমার্থক। যেজন্য ‘বারবার ট্যুইটারের নিয়মবিধি ভাঙা’য় বলিউড ‘ক্যুইন’-এর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট পাকাপাকি সাসপেন্ড করা হয়েছে চলতি বছরে।
এবার সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করে আবেদন করা হল, কৃষি আন্দোলনকে কটাক্ষ করে মন্তব্যের জন্য কঙ্গনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব এফআইআর খার থানায় স্থানান্তরিত করে ৬ মাসের মধ্যে চার্জশিট জমা দিতে হবে।
ডিএসজিএমসি বলেছে, কঙ্গনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ইচ্ছে করে কৃষক আন্দোলনকে খলিস্তানি আন্দোলন বলে দেখিয়েছেন, শিখদের খলিস্তানি সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়েছেন। আমরা ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫ এ (কোনও সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত, অপমান করতে জেনেশুনে দুষ্কর্ম করা) ধারায় অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছি আমরা, তদন্ত চলছে, বলেছেন খার থানার পুলিশকর্তা গজানন কাবদুলে।
ভবিষ্যতে তাঁর সব পোস্ট সেন্সর করতে হবে। তবে এতে চুপ থাকার মহিলা নন তিনি। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে কঙ্গনা ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, হা হা হা, দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী মহিলা! সঙ্গে মুকুটের ইমোজি।
সম্প্রতি কঙ্গনার বিরুদ্ধে শিখ সম্প্রদায় এফআইআর দায়ের করেছে তাদের ধর্মীয় আবেগে আঘাত করার অভিযোগে। অমরজিত্ সিং ও দিল্লী শিখ গুরুদ্বার ম্য়ানেজমেন্ট কমিটি (ডিএসজিএমসি) ও শিরোমনি অকালি দলের সদস্যরা ওই এইআইআর করেন। তারপর কঙ্গনা প্ররোচনামূলক ছবি দিয়ে লেখেন, আরেকটা দিন, আরেকটা এফআইআর। যদি ওরা আমায় গ্রেফতার করতে আসে। মুড অ্যাট হোম।