আগেই একে একে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ন্যাশনাল টেক্সটাইল কর্পোরেশন (এনটিসিএল)-এর অধীনস্থ কটন মিলগুলি। তবে কোনও রকমে চালু ছিল হাওড়ার আরতি কটন মিলটি। কিন্তু লকডাউনের জেরে সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। যদিও পরে মিলটি পুনরায় চালু হলেও পুরোপুরি খোলেনি। মাত্র তিনটি মেশিন চালু করা হয়েছিল। বর্তমানে সেটি কমতে কমতে মাত্র একটি মেশিন এসে ঠেকেছে। এখন কাজও করেন মাত্র ৪৪৮ জন শ্রমিক। যার মধ্যে আবার হাতেগোনা কয়েকজন শ্রমিক স্থায়ী কর্মী। বাকিরা সকলেই ঠিকাদারের অধীনে কাজ করেন। কিন্তু এই কর্মীরাও পুরো মাসের মাইনে পান না। অভিযোগ, তাঁরা মাস গেলে কেউ ১৫ দিন, আবার কেউ ১২ দিনের বেতন পান। এই পরিস্থিতিতে আরতি কটন মিল-সহ এনটিসিএল-এর অধীনে থাকা সবকটি কটন মিল চালুর দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই নিয়ে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন অধীর চৌধুরী। গত ২৭ নভেম্বর তিনি কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে একই দাবিতে চিঠি লেখেন। ৩০ নভেম্বর একই পথে হেঁটে বস্ত্রমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে এই বিষয়ে মুখোমুখি কথাও বলেছেন। আরতি কটন মিল পুনরুজ্জীবনের দাবিতে একসঙ্গে লড়াই করছে কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি, তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি এবং বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলো। এনটিসিএল-এর অধীনস্থ সবকটি কটন মিল চালুর দাবিতে এবার দিল্লীতে দরবার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা সেখানে গিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাংসদদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি বাকি রাজ্যের শ্রমিক নেতার সঙ্গেও কথা বলবেন। উদ্দেশ্য হাওড়ার আরতী কটন মিল সহ দেশের বাকি ২২ টি কটন মিলকে পুনরুজ্জীবিত করা।
![ধুঁকছে হাওড়ার আরতি কটন মিল - হাল ফেরাতে জোট বেঁধে দিল্লীতে দরবার করতে যাচ্ছেন শ্রমিকরা](https://ekhonkhobor.com/wp-content/uploads/2021/12/WhatsApp-Image-2021-12-02-at-15.52.57-3.jpeg)