বাণিজ্যনগরীতে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা মমতা-মডেলের। বিদ্বজ্জনদের সভা থেকে শিল্পবাণিজ্যের মঞ্চ, সর্বত্রই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামাজিক প্রকল্পগুলির জয়গান। সেই সঙ্গে রাজ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর নেতৃত্বের সরকারের সাফল্যগুলিও বারবার উঠে এল আলোচনায়।
বুধবার সন্ধেয় মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হোটেলে ইয়ং প্রেসিডেন্টস অর্গানাইজেশনের (ওয়াইপিও) আয়োজনে একটি শিল্পসভায় যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে অনুষ্ঠান মঞ্চের ব্যাকগ্রাউন্ডে মমতাকে ‘বাংলার বাঘিনী’ বলে উল্লেখ করা হয়। অনুষ্ঠানে মমতার সঙ্গে কথোপকথনে ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি নিরঞ্জন হীরানন্দানি।
সেখানে কথাপ্রসঙ্গে উঠে আসে, মমতা কীভাবে তৃণমূল স্তর থেকে উঠে এসেছেন, তাঁর একেবারে শুরুর দিনের আন্দোলনের অধ্যায়। তাঁরই নেতৃত্বে বাংলা কীভাবে সর্বক্ষেত্রে সারা দেশের কাছে ‘মডেল’ হয়ে উঠেছে। মমতাও সেখানে ব্যাখ্যা করেন, তিনি কীভাবে নিয়মানুবর্তিতার সঙ্গে জীবনযাপন করেন, তিনি কীভাবে রাজ্যের জন্য কাজ করেছেন, কীভাবে তাঁর প্রকল্পগুলি মডেল হয়ে উঠেছে। কথোপকথনে মমতা বলেন, ‘শুধু বাংলার উন্নয়ন করেছি তা-ই নয়, রেলমন্ত্রী হিসাবে আমি যে কাজ করেছিলাম সেগুলো দেখেও মানুষের মনে আমার প্রতি আস্থা এসেছিল এবং মানুষ আমাকে সমর্থন করেছিল’। তিনি আরও বলেন, ‘সিপিএমকে হারানো সোজা ছিল না, কিন্তু আমি কখনও হতাশ হইনি। লড়াই চালিয়ে গিয়েছি’।
রাজ্যের অগ্রগতি, রাজ্যে কী পরিবর্তন হয়েছে, বাংলা কীভাবে মডেল হয়ে উঠেছে, রাজ্যে শিল্প-বিনিয়োগের পরিবেশ ইত্যাদি বাণিজ্যনগরীর শিল্পমহলের সামনে তুলে ধরেন রাজ্যের শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। তিনি বলেন, রাজ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন, কোথাও কোনও সমস্যা হয়নি। সরকারের সব সহযোগিতা পেয়েছেন। শিল্পপতি হীরানন্দানি বলেন, একসময় তাঁর ছেলেও বলতেন, ‘বাংলায় শিল্প করার পরিবেশ নেই। কিন্তু এখন আর সেই বাংলা নেই। বাংলা অনেক বদলে গিয়েছে’।