এবার হাওড়ার দাশনগরের আরতি কটন মিলকে বাঁচাতে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গয়ালকে চিঠি লিখেছেন হাওড়া সদরের তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল টেক্সটাইল কর্পোরেশন লিমিটেডের আওতায় দেশ জুড়ে ২৩টি কটন মিল আছে। তার মধ্যে মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং বাংলার ২২টি কটন মিল দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ। দাশনগরের আরতি কটন মিল পুরোপুরি বন্ধ না হলেও তা এখন ধুঁকছে। সেই কারখানার ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিয়ে মিল বাঁচানোর জন্য আর্জি জানিয়েছেন প্রসূন। চিঠি লিখেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ওই কারখানাটিতে ৪৪৮ জন শ্রমিক কাজ করছেন। হাতেগোনা কিছু শ্রমিক স্থায়ী কর্মী হলেও বাকিরা ঠিকাদারের অধীনস্থ। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানির হস্তক্ষেপে আরতি কটন মিল খোলে। ওই মিলটিতে আংশিক উৎপাদনও শুরু হয়। বর্তমানে শ্রমিকরা মাসে ১৫ দিন কাজ পান। ফলে তাঁদের বেতনও অর্ধেক।
উল্লেখ্য, কারখানা পুরোপুরি খোলার দাবিতে বাম এবং ডানপন্থী শ্রমিক ইউনিয়নগুলি একযোগে আন্দোলন শুরু করেছে। আইএনটিইউসি’র হাওড়া জেলার সভানেত্রী শ্রাবন্তী সিংহের দাবি, “অবিলম্বে ওই কারখানায় পুরোপুরি উৎপাদন শুরু করতে হবে। শ্রমিকদের পুরো মাসের বেতনও দিতে হবে।” কারখানা পুরোপুরি খোলার দাবি নিয়ে ওই শ্রমিক ইউনিয়নের তরফে একটি প্রতিনিধি দল আগামী পাঁচ ডিসেম্বর দিল্লীতে রওনা দেবে। হাওড়া সদরের আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি প্রাণকৃষ্ণ মজুমদার বলেন, “আমাদের সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় আরতি কটন মিল বাঁচাতে উদ্যোগ নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রীকে তিনি চিঠি দিয়েছেন। মিলকে পুনরুজ্জীবিত করাই একমাত্র লক্ষ্য।”
এই মুহূর্তে দিল্লীতে রয়েছেন প্রসূন। তিনি জানিয়েছেন, বস্ত্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আরতি কটন মিল নিয়ে আলোচনা হবে দু’জনের। আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধানের রাস্তা না বার হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। অন্য দিকে, কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লোকসভায় শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন এই ইস্যু তোলার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলবেন অধীর।