সদ্য শেষ হওয়া পুরভোটের আগে ব্যাপক অশান্তি ও হিংসা ছড়িয়েছিল বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার। অক্টোবরের সেই হিংসার নিশানায় ছিলেন সংখ্যালঘু মুসলিমরা। এ ব্যাপারে স্বাধীন, নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন পেশ করেছিলেন দিল্লীর আইনজীবী এহতেশাম হাসমি। আর তারপরই এবার কেন্দ্র, ত্রিপুরার বিজেপি সরকার এবং ত্রিপুরা পুলিশকে নোটিস ধরাল শীর্ষ আদালত। কেন্দ্র এবং ত্রিপুরা প্রশাসনকে দু’সপ্তাহের মধ্যে জবাব পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ডি এন চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি এ এস বোপান্নার বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, পিটিশনে হিংসা দমনের ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন হাসমি। মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর হামলার খবর পেয়ে ত্রিপুরা সফর করে চার সদস্যের তথ্যানুসন্ধানী দলের দেওয়া রিপোর্টের উল্লেখও করেন হাসমি। তাঁর হয়ে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, ত্রিপুরা সংক্রান্ত একাধিক মামলা আদালতের বিচারাধীন। তথ্যানুসন্ধান অভিযানে যাওয়া কয়েকজন আইনজীবীকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হিংসার মামলায় একটিও এফআইআর দায়ের করেনি পুলিশ। আমরা চাই সব মামলার আদালতের নজরদারিতে নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানো হোক। হিংসার তদন্তে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠনের দাবিও করেন ভূষণ। আগামী ১৩ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন স্থির করেছে বেঞ্চ।
