মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই দাবি করে থাকেন, ‘এগিয়ে বাংলা’। এই দাবি যে আদৌ ভ্রান্ত নয়, একাধিকবার মিলেছে তার প্রমাণ। এবার বেকারত্ব দূরীকরণেও এগিয়ে মমতার রাজ্য। ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে বাংলায় বেকারত্বের হার ছিল জাতীয় গড়ের তুলনায় কম। লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে সোমবার এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক। তারা আরও বলেছে, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৪.৮ শতাংশ। অথচ বাংলায় এই হার ৪.৬ শতাংশ। অর্থাৎ বাংলায় বেকারত্বের হার জাতীয় পরিসংখ্যানের তুলনায় কম।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ রুখতে জারি করা লকডাউনের সময় সারা দেশে কাজ হারিয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে দেশের মহিলা শ্রমিক-কর্মচারীদের ওপর। সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের উৎপাদন শিল্প ক্ষেত্র। সোমবার লোকসভায় লিখিতভাবে এই কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শ্রমমন্ত্রক জানিয়েছে, উৎপাদন, নির্মাণ, বাণিজ্য, পরিবহণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অ্যাকোমোডেশন ও রেস্তরাঁ, আইটি/বিপিও এবং ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস এই ন’টি ক্ষেত্রকে ধরে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। আর তাতেই উঠে এসেছে এ হেন তথ্য।
সোমবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব লিখিতভাবে জানিয়েছেন, নিয়মিতভাবে কোয়াটার্লি এমপ্লয়মেন্ট সার্ভে (কিউইএস) করে শ্রম ব্যুরো। বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রের ওপর করোনা মহামারীর প্রভাব খতিয়ে দেখতে উল্লিখিত ন’টি ক্ষেত্রকে ধরে প্রথম ত্রৈমাসিকেও (এপ্রিল-মে-জুন ২০২১) সংশ্লিষ্ট সমীক্ষা করানো হয়। সেখানেই লকডাউনে কাজের হালহকিকত সংক্রান্ত বাস্তব চিত্রটি উঠে এসেছে।
সংসদে লিখিতভাবে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২০ সালের ২৫ মার্চ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময়কে লকডাউন পিরিয়ড হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে ২০২০ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে। আর সেই পরিসংখ্যান থেকেই দেখা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট ন’টি ক্ষেত্রে লকডাউন পিরিয়ডের আগে, মোট পুরুষ এবং মহিলা কর্মীর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২ কোটি ১৭ লক্ষ এবং ৯০ লক্ষ। লকডাউন পিরিয়ডে তা কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ কোটি ১ লক্ষ এবং ৮৩ লক্ষে।