তৃণমূল কংগ্রেস সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা জাতীয় স্তরে শক্তি বাড়াবে। কালীঘাটে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে তৃণমূল সিদ্ধান্ত নেয়, ২০২৪-এর লক্ষ্যেই তারা এগোবে। কেননা দেশে আরও নির্ভীক নেতার প্রয়োজন নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে। আর সেই নির্ভীক নেতার ভূমিকায় সবথেকে দক্ষ হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মোদী বিরোধী প্রধান মুখ করে তুলতে তৃণমূল নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে রাজ্য রাজ্যে সংগঠন গড়ে তুলতে তৎপর হবে তৃণমূল। বাংলার বাইরে একাধিক রাজ্যে ইতিমধ্যে তাঁরা সংগঠন গড়ে তুলেছে। ত্রিপুরায় ফলও পেযেছে হাতেনাতে। শূন্য থেকে শুরু করে তিনমাসের মধ্যে তৃণমূল বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছে ত্রিপুরায়।
ত্রিপুরার পর গোয়া বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। গোয়া নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা রয়েচে তৃণমূলের। এখানেও কংগ্রেসকে বিট করে তারা প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠতে চাইছে। এখানেও বিজেপিকে হারানো তাদের মূল লক্ষ্য নয়। মূল লক্ষ্য কংগ্রেস ভেঙে সংগঠন বাড়িয়ে নেওয়া। তারপর বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই।
এরই মধ্যে কালীঘাটে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ভিনরাজ্যে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নেতাদের। কংগ্রেস ছেড়ে বা অন্য দল ছেড়ে যাঁরা তৃণমূলের পতাকা নিয়েছে তাঁদের সবাইকে কালীঘাটে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি রাজ্যে সংগঠনে জোর দেওয়া হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে ২০২৪-এর লক্ষ্যে। অভিষকে বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি লেখেন- জাতীয় ওয়ার্কিং কমিটিক বৈঠকে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, দেশে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এমন একজনকে চাই যিনি নির্ভীক হবেন, যাঁর কণ্ঠস্বর স্বৈরাচারী শক্তির দ্বারা নিচু করা যাবে না, যাঁর কণ্ঠ নীরব হবে না। সেই নির্ভীক নেত্রী যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই, তাও জানিয়েছেন তিনি। লিখেছেন- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা মানুষের জন্য সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করে যাব।