বাদল অধিবেশনের ‘অরাজক এবং হিংসাত্মক আচরণের’ জন্য গোটা শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড হয়েছেন তৃণমূলের শান্তা ছেত্রী-সহ ১২ বিরোধী সাংসদ। প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছেন তৃণমূল সাংসদরা। তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায় জানিয়েছেন, এই ধর্নায় যোগ দেওয়ার জন্য অন্য দলের সাংসদদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে।
গতকাল দুপুরে হঠাৎ করেই তৃণমূলের দু’জন-সহ বিরোধী দলের ১০ সাংসদ -কে সাসপেন্ড করা হয়। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিরোধী শিবির। কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। সেই যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করে কংগ্রেস, ডিএমকে, সমাজবাদি পার্টি, এনসিপি, আরজেডি, সিপিএম, সিপিআই, আইইউএমএল, এলজেডি, জেডিএস, এমডিএমকে, টিআরএস এবং আম আদমি পার্টি।
শাস্তির কোপে পড়া ১২ জন সাংসদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের ছ’জন, সিপিএমের এলামারান করিম, শিবসেনার প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী ও অনিল দেশাই, সিপিআইয়ের বিনয় বিশ্বম। তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন দোলা সেন এবং শান্তা ছেত্রী। রাজ্যসভার তরফে এই ১২ জন সাংসদের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের পদকে অসম্মান করা, সংসদীয় আইন অগ্রাহ্য করে সংসদের কাজে বিঘ্ন ঘটানো, দুর্ব্যবহার করা, হিংসাত্মক আচরণ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিন রাজ্যসভার বিরোধী নেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে সাসপেনশনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় নিজের যুক্তি পেশ করে সেই সিদ্ধান্ত বদলানোর আবেদন জানান। তবে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তা নাকচ করে দেন। বেঙ্কাইয়া নায়ডু এই বিষয়ে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সংসদ সদস্যরা দুঃখ প্রকাশ করেননি। আমি বিরোধীদলীয় নেতার (কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে) আবেদন বিবেচনা করছি না। সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হবে না।’