অভিনয়ের জন্য তিনি যদি খবরে থাকেন বছরে দু’মাস তাহলে বাকি ১০ মাস তিনি হেডলাইনে থাকেন নিজের ক্যারিশমায়। অনেকে নিন্দে করেন। কিন্তু তাতে তাঁর কিছু যায় আসে না। তিনি অবিচল। সেই কঙ্গনা রানাউত এবার শরণাপন্ন হলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর।
যেদিন নরেন্দ্র মোদী তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করার কথা জাতির উদ্দেশে ভাষণে ঘোষণা করেছিলেন, সেদিন খুব রেগে গিয়েছিলেন কঙ্গনা। বলেছিলেন, যে দেশে আইনসভায় তৈরি আইন রাস্তায় বসে প্রত্যাহার করতে বাধ্য করানো হয় সেটা জেহাদিদের দেশ।
স্বাভাবিকভাবেই অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, আন্দোলনরত কৃষকদের জেহাদি বলেছেন কঙ্গনা। তা ছাড়া তাঁর রাজনৈতিক ডিএনএ-এর সঙ্গে আরএসএসের বেশ মিল রয়েছে বলেও মনে করেন অনেকে। এই প্রেক্ষাপটে কঙ্গনার সেই কথা নিয়ে এখনও হইচই চলছে। সেই সূত্র ধরেই তাঁকে খুন করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ অভিনেত্রীর।
এখানে বলে রাখা ভাল, কঙ্গনা সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশ পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন যে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। শুধু হিমাচল নয়। কঙ্গনার দাবি, পাঞ্জাব থেকেও সন্ত্রাসবাদীদের একটি অংশ তাঁকে খতম করার ছক করেছে।
এ ব্যাপারেই তিনি কংগ্রেস সভানেত্রীকে চিঠি লিখে বলেছেন, প্লিজ সনিয়াজি আপনি একটু দেখুন। আপনাদের পাঞ্জাব সরকারের মুখ্যমন্ত্রীকে বলুন, পুলিশ যেন ওদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়।
সনিয়াকে কঙ্গনা স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছেন ইন্দিরা গান্ধীর কথাও। অভিনেত্রী লিখেছেন, আপনার শাশুড়িও তো শেষদিন পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধেই ছিলেন।
কঙ্গনার অভিযোগ, পাঞ্জাব সহ বেশ কিছু জায়গা থেকে তাঁর কিছু শব্দকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে। কৃষক আন্দোলন নিয়ে তিনি যা বলেছিলেন, তাঁর অংশ নিয়ে ফেক প্রচার করা হচ্ছে। এর পুরোটাই হচ্ছে পাঞ্জাবের ভোটের কথা মাথায় রেখে।