ইস্যু একই। সাংসদদের সাসপেনশন। যে সমস্যায় একযোগে ভুক্তভোগী কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে, সিপিআই, সিপিএম, শিব সেনা সকলেই। এই ইস্যুকে সামনে রেখে ফের সম্মিলিতভাবে বিজেপি বিরোধিতায় জোর দিল বিরোধী শিবির।
আজ সকালে রাজ্যসভার কংগ্রেস দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকা বৈঠকে হাজির না থাকলেও, বিরোধীদের ধরনায় প্রতিনিধি পাঠিয়ে তৃণমূল বুঝিয়ে দিল, বিজেপি বিরোধিতার প্রশ্নে কারও সঙ্গে কোনও বিরোধকেই তারা গুরুত্ব দেবে না। ডেরেক ও’ব্রায়েন এদিন বলছিলেন, “তারা আপাতত বিজেপিকে হারানোটাই আসল লক্ষ্য হিসাবে দেখছেন। সেক্ষেত্রে ছোটখাটো বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই।”
এদিকে, ১২ জন সাংসদের সাসপেনশনের প্রতিবাদে আগামিকাল থেকেই সংসদ চত্বরে ধরনা কর্মসূচি শুরু করছে এরাজ্যের শাসকদল। দলের দুই সাসপেন্ডেড সাংসদ সংসদ অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত ধরনা কর্মসূচি পালন করবেন।
তাঁদের প্রতি সহমর্মিতা দেখাতে অন্য সাংসদদেরও আহ্বান জানিয়েছে তৃণমূল সূত্রের খবর, তাতে নাকি সাড়াও দিয়েছেন অন্য দলের সাসপেন্ডেড সাংসদরা। সব ঠিক থাকলে, আগামিকাল থেকে ১২ জন সাংসদকেই একসঙ্গে ধরনায় বসতে দেখা যাবে। যদিও, ধরনা কর্মসূচি পালন করলেও কংগ্রেসের মতো সংসদ বয়কট করবে না তৃণমূল।
সংসদে বিরোধীদের ধরনা কর্মসূচিতে যোগ দিল তৃণমূলও। শুধু তাই নয়, বুধবার থেকে অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত তৃণমূলের সাসপেন্ডেড সাংসদরা ধরনায় বসবেন। সেই ধরনা কর্মসূচিতে বাকি বিরোধী সাংসদরাও উপস্থিত থাকবেন বলে সূত্রের দাবি।
বাদল অধিবেশনে হট্টগোলের জেরে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন থেকে গতকাল সাসপেন্ড করা হয়েছিল বিভিন্ন দলের ১২ জন সাংসদকে। সেই সাসপেনশন প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলেন বিরোধীরা।
বুধবার সাংসদদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের আবেদন খারিজ করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু যার প্রতিবাদে এদিন ওয়াকআউট করে বিরোধী শিবির। কংগ্রেস, ডিএমকে, শিব সেনা একযোগে ওয়াক-আউট করার কিছু পর রাজ্যসভা থেকে বেরিয়ে যায় তৃণমূলও।
ওয়াক-আউটের পর সংসদে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে বিরোধী শিবির। কংগ্রেস, ডিএমকে, শিব সেনার পাশাপাশি ওই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরাও।