মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুম্বইতে পৌঁছেই সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজো দেওয়ার পর তিনি বলেন, “এর আগে অনেক বার আসার ইচ্ছা হয়েছিল। কিন্তু সুযোগ হয়ে ওঠেনি। এখানকার মন্দিরের পুরোহিত এবং ট্রাস্টের লোকেদের অনেক ধন্যবাদ। এখানে সবার জন্য প্রার্থনা করেছি। সময় হলে আবার আসব।” সব শেষে বললেন, “জয় মরাঠা, জয় বাংলা।”
প্রসঙ্গত, মমতার এ বারের মুম্বই সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক, দু-দিক থেকে। মঙ্গলবার দুপুরে মুম্বই যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে মমতা বলেছিলেন, শরীর খারাপের জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে দেখা করতে না পারলেও তাঁর ছেলে আদিত্য ঠাকরে দেখা করবেন। কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “উদ্ধব ঠাকরে অসুস্থ। তাই ওঁর সঙ্গে দেখা হবে না। তবে ওঁর ছেলে আদিত্য দেখা করতে আসবেন। এ ছাড়া এনসিপি প্রধানে শরদ পওয়ারের সঙ্গেও দেখা হওয়ার কথা।”
উল্লেখ্য, এদিন মুম্বই পৌঁছনোর কথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। ঘোষিত উদ্দেশ্য শিল্প সম্মেলনে উপস্থিতি হলেও, মমতার মুম্বই সফরের রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সাম্প্রতিক দিল্লী সফরে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূল নেত্রীর সরাসরি জবাব ছিল, দিল্লী এলে সনিয়ার সঙ্গে দেখা করা কি বাধ্যতামূলক? সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছিলেন, নভেম্বরের গোড়ায় মুম্বই যাচ্ছেন শিল্প সম্মেলনে আমন্ত্রিত হয়ে। মায়ানগরীতে মমতা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ও এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের সঙ্গে দেখা করবেন বলে তখনই জানিয়ে দিয়েছিলেন। অতঃপর মুম্বই রওনা হলেন তৃণমূল নেত্রী। উদ্ধব অসুস্থ হলেও তাঁর পুত্রের সঙ্গে কথা হবে তাঁর।