শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিন অর্থাৎ সোমবারই রাজ্যসভার ১২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করেছেন স্পিকার। অধিবেশনের বাকি দিনগুলিতে তাঁরা আর যোগ দিতে পারবেন না। অভিযোগ, সংসদের গত বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে তাঁরা উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেছিলেন। এভাবে বিরোধী সাংসদদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে সংসদের শীত অধিবেশনই ভণ্ডুল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
সোমবার ১২ জন সাংসদ বহিষ্কৃত হওয়ার পরেই রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন আরজেডি-র মনোজ কুমার ঝা। তিনি খাড়গেকে অনুরোধ করেন, তিনি যেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুর সঙ্গে কথা বলেন। ১২ সাংসদের ওপর থেকে সাসপেনশন তুলে নেওয়ার আর্জি জানান। বামপন্থী সাংসদরাও মনোজ কুমার ঝা-কে সমর্থন করেন। আরজেডি সাংসদ বলেন, সরকার যদি বিরোধীদের কথা না শোনে তাহলে শীত অধিবেশন বয়কট করা উচিত। কংগ্রেস এখনও এসম্পর্কে মতামত জানায়নি। একটি সূত্রে খবর, কংগ্রেসের অনেক সাংসদ মনে করছেন, সংসদ বয়কট করা বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। তাঁদের বক্তব্য, বিরোধীরা যদি সংসদে না থাকেন, সরকার যা খুশি তাই করতে পারবে।
সোমবার রাজ্যসভার অধিবেশনের শুরুতে বেঙ্কাইয়া নায়ডু বলেন, ‘গত বাদল অধিবেশনে আমাদের যে তিক্ত ও অবাঞ্ছিত অভিজ্ঞতা হয়েছিল, তা আমরা ভুলিনি।’ পরে তিনি বলেন, ‘বাদল অধিবেশনের শেষ দু’দিনে যা ঘটেছিল, তা নিয়ে তদন্ত চেয়েছিল ট্রেজারি বেঞ্চ। আমি বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেয়েছিলাম। তাঁদের অনেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনও তদন্তে শামিল হতে রাজি নন।’ সোমবার রাজ্যসভার সাসপেনশন নোটিশে বলা হয়, অভিযুক্ত সাংসদরা রাজ্যসভার মর্যাদা রক্ষা করেননি। গত ১১ আগস্ট, বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে তাঁরা সভার নিরাপত্তারক্ষীদের ওপরে ইচ্ছাকৃত আক্রমণ করেছিলেন।