এমন একটা সময় ছিল যখন সংসদে একা যেতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দল তৃণমূলের তরফে ছিলেন তিনি একমাত্র সাংসদ। রাজ্যের নাম পশ্চিমবঙ্গ। সেই স্মৃতিই যেন খানিকটা হলেও উস্কে উঠছে ত্রিপুরার পুর নির্বাচনে। আমবাসা এলাকার পুর পরিষদের ভোটে একটি মাত্র আসন দখল করতে পেরেছে তৃণমূল। সারা রাজ্যে ওই একটিই।
পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয়বার ক্ষমতা দখলের পর অন্য রাজ্যে জমি শক্ত করার লক্ষ্যে নেমেছে তৃণমূল। ত্রিপুরা ও গোয়ায় সংগঠন শক্তিশালী করার বিষয়ে উদ্যোগী দল। সে ক্ষেত্রে আমবাসা পুর পরিষদের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী সুমন পাল জয়ী হওয়ার ঘটনা যে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে তা বলাই যায়।
এ বারই প্রথম ত্রিপুরায় নির্বাচন লড়তে গিয়েছিল তৃণমূল। এ রাজ্যের নেতা নেত্রীদের উপরই দায়িত্ব পড়েছিল ত্রিপুরায় গিয়ে প্রচার, ভোট পরিচালনা করার। সে ভাবেই আমবাসার দায়িত্বে ছিলেন চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম-সহ আরও দু’একজন। ফলে তাঁর পর্যবেক্ষণে থাকা এলাকায় একটি ওয়ার্ডে তৃণমূলের জয়ে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি অরিন্দম।
এ দিন তিনি বলেন, ‘দল দায়িত্ব দিয়েছিল যে এলাকায় সেই এলাকায় অন্তত একটা আসনেও জিতে যাওয়ার পর খুব ভালো লাগছে। আমবাসার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রেখেছেন।
বলতে পারেন এটা একটা ট্রেলার বা সেমিফাইনাল। ফাইনাল হবে ২০২৩ সালে।’ এ দিন চুঁচুড়া রবীন্দ্রভবনে হুগলি জেলা আইএনটিটিইউসি’র কর্মীসভায় এসেছিলেন অরিন্দম। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথাই জানান তিনি।