অতিসম্প্রতি ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে-৫-এ সার্ভেতে দেশের অন্তত তিনটি রাজ্যের ৭৫ শতাংশেরও বেশি মহিলা মেনে নিয়েছেন যে, স্ত্রীর গায়ে হাত তোলার মধ্যে যুক্তি রয়েছে! তেলেঙ্গানার ৮৪ শতাংশ, অন্ধ্র প্রদেশের ৮৪ শতাংশ ও কর্ণাটকের ৭৭ শতাংশ মহিলা স্ত্রী’কে পেটানো স্বামীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। পুরুষদের ক্ষেত্রে এ বিষয়ে শীর্ষে কর্ণাটক। সেই রাজ্যের প্রায় ৮২ শতাংশ পুরুষ মনে করেন, স্বামী স্ত্রীকে মারতেই পারেন, কোনও দোষ নেই! তবে এদের মধ্যেই আশার আলো উত্তরের রাজ্যে। নারী-পুরুষ দুই তালিকাতেই সবার শেষে হিমাচলপ্রদেশ। এ রাজ্যের মাত্র ১৪.২ শতাংশ পুরুষ এবং ১৪.৮ শতাংশ মহিলা মনে করেন, বউ পেটানোর কাজটা ঠিক।
উল্লেখ্য, ২০১৯-২১ সাল সময়-পর্বে দেশ জুড়ে চালানো হয়েছিল ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ-এর এই সমীক্ষাটি। সমীক্ষায় পুরুষ-নারী নির্বিশেষে প্রশ্ন করা হয়েছিল, স্বামীর পক্ষে স্ত্রীকে পেটানো কি যুক্তিযুক্ত? এর উত্তরে দেশের ১৪টি রাজ্য় ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের অন্তত ৩০ শতাংশ মহিলা উত্তর দিয়েছেন – হ্যাঁ! আর বাংলায় ৪৪ শতাংশ মহিলা মনে করেন স্ত্রীকে পেটানোর মধ্যে যুক্তি রয়েছে। মহিলারা তাঁদের এই উত্তরের পিছনে যুক্তিও খাড়া করেছেন। যদিও সেই সব যুক্তি শুনে অবশ্য চোখ কপালে উঠেছে অনেকেরই। তাঁরা বলছেন, বেশ কয়েকটি কারণের জেরে মূলত বউরা স্বামীর হাতে মার খান। যেমন, শ্বশুরবাড়ির প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ, স্বামীকে না বলে বাইরে যাওয়া, ঘর-সংসার ও বাচ্চাদের প্রতি অবহেলা দেখানো, স্বামীর সঙ্গে তর্ক করা, স্বামীর সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতে অনীহা প্রকাশ করা, ভালো রান্না করতে না পারা ইত্যাদি কাজের ফলস্বরূপ স্ত্রীদের গায়ে হাত তুলতেই পারেন স্বামীরা।
