বিগত ১১ই আগস্ট, সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে, পেগাসাস ইস্যুতে রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিরোধী পক্ষের সাংসদরা। সেই সময় থেকেই ওই সাংসদদের শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিজেপি সাংসদরা। সোমবার শীতকালীন অধিবেশন শুরু হতেই বিক্ষোভকারী ১২ সাংসদের শাস্তির দাবি জানায় সরকারপক্ষ। এরপর সাসপেন্ড হয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ শান্তা ছেত্রী এবং দোলা সেন। এর প্রতিবাদে আজ বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে সেদিনের ভিডিও ফুটেজ জনসমক্ষে আনার দাবি তুললেন সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে সুখেন্দু শেখর বলেন, “১২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করাটা অগণতান্ত্রিক, অবৈধ এবং অসাংবিধানিক।” তিনি বলেন যে, সংসদের ধারা ৩৬৭ অনুযায়ী বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি এবং বিষয়টি ব্যবসা উপদেষ্টা কমিটিতেও তোলা হয়নি। এছাড়াও সেদিন সাংসদ শান্তা ছেত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়, একথাও মনে করিয়ে দেন সুখেন্দু শেখর।
প্রসঙ্গত, আজ দিল্লীতে সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। সেখানে অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড হওয়া দুই নেত্রীও ছিলেন। সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, “যেহেতু দোলা সেন শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, তাই তাঁকে নিশানা করা হচ্ছে। যদি আমাদের কোথাও কোনও ভুল হয়ে থাকে, যদি কোনও অন্যায় হয়ে থাকে, তাহলে ভিডিয়ো প্রকাশ করুক কেন্দ্র।” তিনি আরও বলেন, “আজ কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাস হওয়ার সময় কোনওরকম আলোচনাই হয়নি। কেবলমাত্র ক্ষমতা বলে ধ্বনিভোট করে বিল পাস করিয়ে নেওয়া হল। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি।”
এছাড়া সাংসদদের সাসপেন্ড করা প্রসঙ্গে সুখেন্দু শেখর বলেন, “যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে, তাঁদের নিজেদের মতামত প্রকাশের সুযোগটুকু দেওয়া হয়নি। এই প্রক্রিয়া অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক।” পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, “যদি সংসদ ভবনেই আমাদের আওয়াজ শোনা না যায়, তাহলে আর কোথায় শোনা যাবে? কফি হাউজে?” উল্লেখ্য, আজ সংসদ থেকে সাসপেন্ড করার পর দোলা সেন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছিলেন, “বেছে বেছে সাংসদদের নিশানা করা হচ্ছে। আমরা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারি, আওয়াজ তুলতে পারি, তাই আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”