বৃহস্পতিবারই পুরভোটের দিন ঘোষণা করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতায় পুরভোট। আর ১ ডিসেম্বর, মানে আগামী বুধবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। তাই শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতি তুঙ্গে গেরুয়া শিবিরে। দফায় দফায় রাজ্য দফতরে বৈঠকের পর সোমবার প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করতে চলেছে বিজেপি। প্রথম দফার তালিকা প্রকাশ হবে আজই। আর তার আগে নজিরবিহীন নিরাপত্তাবলয় বিজেপি মুরলীধর সেন লেনে। বিজেপির রাজ্য সদর কার্যালয়ে বসল লোহার গ্রিল। তা নিয়েই নতুন করে জল্পনার শুরু হল।
সোমবার বিজেপির রাজ্য দফতরে গিয়ে দেখা গেল সেখানকার নিরাপত্তা বেড়েছে অনেকটাই। বিজেপির পার্টি অফিস এতদিন ছিল অবারিত দ্বার। কিন্তু কলকাতা পুরভোটের প্রার্থী ঘোষণার আগেই লোহার গ্রিল, দরজা বসল দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মুখে। পুরনো এই বিল্ডিংয়ে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কার্যালয়। পিছনের বিল্ডিংয়ের প্রবেশ পথেও সেই একই লোহার গেট। এই বিল্ডিংয়ে বসেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরা। আজ কলকাতা পুরভোটের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা বিকেলে। তার আগেই পার্টি অফিসের বিল্ডিংয়ের ঢোকার মুখে গ্রিলের দরজা কেন, তা নিয়ে চলছে জল্পনা।
পুরভোটের প্রার্থী নিয়ে কোনও ক্ষোভ-বিক্ষোভের আশঙ্কাতেই কি গ্রিলের দরজা বসানো হল দলীয় কার্যালয়ে? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে? এই সব প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রসঙ্গত, দলের প্রায় সব বিদায়ী কাউন্সিলরকেই এবারের কলকাতা পুরভোটে প্রার্থী করতে চলেছে বিজেপি। গতবারের জেতা আসনে কোনও বদল আনতে চাইছে না তারা। এদিন সকালে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও জানান, তাঁদের প্রার্থীতালিকা একেবারেই চূড়ান্ত। আলোচনা করেই প্রতি ওয়ার্ডে প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও কি প্রার্থী নিয়ে দলের অন্দরে অসন্তোষের আঁচ পাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি? তাই কি এই বজ্র আঁটুনি? উঠছে প্রশ্ন।