হাঁসখালি-কৃষ্ণনগরের পর নবদ্বীপ-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়কেও ফের দুর্ঘটনা। প্রাণ গেল এক সাইকেল আরোহীর। পরপর দু’দিন পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেপাড়ার কাছে ব্যাপক উত্তেজনা। পথ নিরাপত্তার অভাবের অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা।
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১৭ জনের। জখম ৬ জনের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। পথ নিরাপত্তা নিয়ে খোঁচাও দেন তিনি।
এদিকে, কেন্দ্রের তরফে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের পরিবার পিছু দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। দুর্ঘটনায় সতেরো জনের প্রাণহানির ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া। আর তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের নবদ্বীপ-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়কে দুর্ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
সকালে কাজে যাওয়ার উদ্দেশে সাইকেলে চড়ে বাড়ি থেকে বেরোন হাজিবুল শেখ নামে এক যুবক। নবদ্বীপ-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়কের কোতোয়ালি থানার দেপাড়ার কাছে দ্রুত গতিতে আসা একটি লরি তাঁর সাইকেলে ধাক্কা মারে। সাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে যান হাজিবুল শেখ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
পরপর দু’দিন দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। পথ নিরাপত্তার অভাবের অভিযোগে রাস্তা অবরোধ করেন। অবরোধের জেরে রাজ্য সড়কে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। ব্যাহত হয় যানচলাচল।
উল্লেখ্য, রবিবারই ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী হয় নদিয়া। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থেকে একটি মৃতদেহ নিয়ে সৎকার করতে নবদ্বীপে যাচ্ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। রাত দেড়টা নাগাদ শববাহী গাড়িটি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পাথরবোঝাই লরিতে ধাক্কা মারে।