ভিনরাজ্যের পুরনির্বাচনে লড়াই করে একটি আসনে খাতা খুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরায় পুরভোটে আমবাসায় খাতা খুলল ঘাসফুল শিবির। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বিজেপিকে কটাক্ষ বলেন, “দুমাসেই কোথায় কোথাও ২০-২৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অবাধ ভোট হলে বিজেপি থাকত না। আমরা উৎসাহিত। মানুষ সাড়া দিচ্ছেন।”
আজ একটি ভিডিও বার্তায় কুণাল জানান, “ত্রিপুরার মানুষকে আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এবং ত্রিপুরায় তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সংগঠকদের আমরা আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। কারণ, মাত্র দু থেকে আড়াই মাস হামলা, মামলা,১৪৪ ধারা সমস্তটা মিলিয়ে মাত্র দু’মাসের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিঃশব্দ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন ত্রিপুরায়। এবং ত্রিপুরার মানুষ তাতে সাড়া দিয়েছেন। আমবাসাতে খাতা খুলেছেন তৃণমূল প্রার্থী। আবার বহু জায়গায় এত ছাপ্পা ভোটের পরেও ২০-২৩-২৬-২৭ শতাংশ পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। রাজ্য জুড়ে যে স্পন্দন তাতে দেখা যাচ্ছে বিকল্প হিসেবে উঠে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবং আমরা আশাবাদী, আমরা অনুপ্রাণিত যে, আর কয়েকটা মাত্র মাস ২০২৩ আমরা সরকার গড়ব। বিজেপির বিসর্জনের ভিত্তিপ্রস্তর আজ মানুষের মন থেকে স্থাপিত।”
প্রসঙ্গত, বিজেপির সর্ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন জানিয়েছেন ত্রিপুরায় একটি আসন পাওয়া মানে সান্ত্বনা পুরস্কার। তার পরিপ্রেক্ষিতে কুণাল জানান, “অপরিণত নেতা। কারণ, বাংলায় বিজেপির ২০ শতাংশের কাছাকাছি ভোটে পৌঁছতে দু’দশক আড়াই দশক লেগেছিল। সেখানে দু’মাসে গড়ে আমরা ছুঁয়ে ফেলেছি। এখনও আমরা সমস্ত তথ্য পরিসংখ্যান পাইনি। ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস সাংগঠনিক পরবর্তী কাজ শুরু করছে। তৃণমূল কংগ্রেস উৎসাহিত, অনুপ্রাণিত।”