আসন্ন কলকাতা পুরভোটে টিকিট পাওয়ার পরই আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গেল রত্না চট্টোপাধ্যায়ের গলায়। “শোভন যা পারেননি, আমি করব”, এমনই বার্তা দিলেন রত্না। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ওয়ার্ড থেকে এবার ঘাসফুল শিবিরের মুখ রত্না। বিধানসভার পর পুরসভা দখলের ক্ষেত্রেও রত্নার উপর আস্থা রাখলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টিকিট পাওয়ার পর রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অসাধারণ অনুভূতি হচ্ছে! দীর্ঘদিন ধরে যেখানে আমি থাকি, সেই এলাকা থেকেই ভোটে লড়তে পারছি। খুব ভালো লাগছে। এই এলাকায় আমি দীর্ঘ চার বছর ধরে পরিষেবা দিয়ে এসেছি। শোভন চট্টোপাধ্যায় কাউন্সিলর থাকাকালীন এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর একদিনের জন্য আসেননি এখানে। এখানকার মানুষ আমাকে বিশ্বাস করে আমার কাছে পরিষেবা চেয়েছে। আমি তা দিতে পেরেছি। সেরকম একটা জায়গা থেকে কাউন্সিলরের টিকিট পাওয়াকে তো অসাধারণই বলব।”
কতটা আত্মবিশ্বাসী তিনি? উত্তরে রত্না বলেন, “আমি এই আসনে জয় নিয়ে ভীষণরকম আত্মবিশ্বাসী। ২০০ শতাংশ নিশ্চিত হয়ে আমি জিতব। আমি মানুষের মিশতে ভালোবাসি। প্রত্যেকের জন্য আমার দরজা খোলা। প্রত্যেকে আমার কাছে আসেন। সকলকে আমার সাধ্যমতো পরিষেবা দিয়েছি। করোনা, যশ আমফানের সময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। ভোর পাঁচটা অবধি জেগে মানুষকে পরিষেবা দিয়েছি। ফলত এলাকার মানুষের সঙ্গে আমার মনের সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে। আত্মীয়তা তৈরি হয়ে গিয়েছে। তাঁরাও চান আমি ওয়ার্ডে থাকি, আমিও তাই চাই।”
পাশাপাশি নেত্রী বলেন, “শোভন চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রী ছিলেন। মেয়র ছিলেন। কাজেই ওঁকে হেড অফিসে থাকতে হত। আমি বেহালা পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক হিসেবে সেখানে যাতায়াত করি ঠিকই। কিন্তু, এখানে বাড়ি হওয়ার কারণে ওয়ার্ডকেও অনেকটা সময় দিতে পারি। মেয়র নই, মন্ত্রী নই। তাই ওয়ার্ডের জন্য অনেক বেশি কাজ করতে পারব। ওঁর চেয়ে বেশি সময় দিতে পারব এখানকার মানুষদের।” পাশাপাশি প্রত্যয়ী কণ্ঠে তাঁর সংযোজন, “মন্ত্রী হওয়ার দরুন ওঁকে আবাসন, পরিবেশ দফতরে যেতে হতো। মেয়র হিসেবে পুরসভায় থাকতে হতো। ফলত ওয়ার্ডের জন্য অতটা সময় দিতে পারতেন না। আমি পারব। আমি একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে রাজনীতি করি। সেটাই আমার ইউএসপি। সেখানেই শোভনের সঙ্গে আমার ফারাক। উনি যেটা করতে পারেননি, সেটা আমি পারব।” উল্লেখ্য, শনিবার থেকেই এলাকায় প্রচারে বেরিয়ে পড়েছেন রত্না। এদিন দেওয়ালও আঁকেন তিনি।