ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নিজের দুই সন্তান-সহ পাঁচ জনকে খুন করলেন এক ব্যক্তি। শুক্রবার রাতে ত্রিপুরার খোয়াই জেলার ওই ঘটনায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিকও। ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে খোয়াই থানার সাব ইনস্পেক্টর সত্যজিৎ মল্লিক কয়েক জন পুলিশকর্মীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। প্রদীপকে নিরস্ত করতে গেলে হঠাৎই সত্যজিৎকে আক্রমণ করেন তিনি। ঘটনাস্থলেই সত্যজিতের মৃত্যু হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশকর্মীরা অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের এক কর্মী জানিয়েছেন, তাঁরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রদীপ আচমকা সত্যজিতের গলায় ধারাল অস্ত্রের কোপ মারেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, উত্তর রামচন্দ্রঘাট এলাকার শেওড়াতুলির বাসিন্দা, পেশায় রাজমিস্ত্রি প্রদীপ দেবরায় মানসিক সমস্যার কারণেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। প্রথমে বাড়িতে নিজের দুই শিশু সন্তানকে কুপিয়ে খুন করেন তিনি। এর পর স্ত্রীর উপর চড়াও হন। কিন্তু তাঁর স্ত্রী কোনওক্রমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন। এর পর প্রদীপ রাস্তায় বেরিয়ে এক অটোচালককে খুন করেন। ধারাল অস্ত্রের কোপ মারেন আরও কয়েক জনকে।