কোথাও সিপিএমের শিবির ভাঙচুর, কোথাও আবার তৃণমূল প্রার্থীকে মারধর! দিনভর আগরতলা পুরভোটকে কেন্দ্র করে একের পর এক হিংসার অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির বিরুদ্ধে গণতন্ত্র হরণের অভিযোগে সরব হয়েছে দুই বিরোধী-সিপিএম ও তৃণমূল। দু’পক্ষই পুনর্নির্বাচনের দাবি করেছে।
ভোটের প্রচারে বারবার বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগে সরব হয়েছিল তৃণমূল ও সিপিএম। ভোটের দিনও সেই অভিযোগ অব্যাহত রইল। এ দিন ভোট সন্ত্রাসের অভিযোগে আগরতলা পূর্ব থানা ঘেরাও করে তৃণমূল। আটক করা হয় ত্রিপুরা তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান সুবল ভৌমিককে। সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে পশ্চিম আগরতলা থানা ঘেরাও করে সিপিএম-ও। পাল্টা সিপিএমের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনেছে বিজেপি। ভোট দিতে যাওয়ার সময় আক্রান্ত হন বিজেপি কর্মী সুকুমার পাল। আগরতলার ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী তপন বিশ্বাসের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। আগরতলার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীর ছেলে উপরও হামলার অভিযোগ। ভোটে দিতে বাধার অভিযোগ তৃণমূলের। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের ক্যাম্প অফিস ভাঙচুরের অভিযোগও উঠেছে। দক্ষিণ ত্রিপুরার বিলোনিয়ায় রিগিং ও বুথ দখলের অভিযুক্ত বিজেপি। পুরভোটে সব কেন্দ্রেই পুনর্নির্বাচনের দাবি করেছে সিপিএম। তাদের বক্তব্য, অধিকাংশ পোলিং বুথ বিজেপি আশ্রিত বহিরাগতরা দখল করে ফেলে। নির্বাচনী আধিকারিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কথা বলতে রাজি হননি।
পুরভোট বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছে তৃণমূল। দলীয় নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’শাসক দল জনসমর্থন হারিয়েছে। পায়ের তলার মাটি দুর্বল। মানুষ অবাধে ভোট দিতে পারলে শাসক দল ক্ষমতায় আসতে পারত না। সকাল থেকে একতরফাভাবে ভোট করেছে। ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই। নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছে। নির্বাচন হয়নি। এই নির্বাচন বাতিল করা হোক। পুনর্নির্বাচন হোক সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে।’