১১ দিন হয়ে গেল বাবাকে হারিয়েছেন অভিনেত্রী সঞ্চালিকা রচনা বন্দোপাধ্যায়। পদে পদে তাঁর অভাব অনুভব করছেন তিনি। কার্যত বিধ্বস্ত হয়ে পড়ছেন রচনা। বৃহস্পতিবার বাবার ক্রিয়াকর্মতেও চোখ ছলছল করে উঠল তাঁর। এদিন রচনার বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রও।
গত ১৫ নভেম্বর প্রয়াত হন অভিনেত্রী সঞ্চালিকার বাবা রবীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। আচমকা এমন অঘটনে ভেঙে পড়েছিলেন রচনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনাটা জানাতে পর্যন্ত পারেননি তিনি। কাজ থেকেও কিছুদিনের জন্য বিরতি নিয়েছেন রচনা। আচমকা এমন শোকে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন সদা হাস্যময় অভিনেত্রী। এমতাবস্থায় এখনি কাজে ফেরা সম্ভব নয় তাঁর পক্ষে। সে কারণেই কিছুদিনের জন্য দিদি নাম্বার ওয়ানের সঞ্চালক বদলের সিদ্ধান্ত।
একটু শোক সামলে উঠে বাবার ছবি পোস্ট করে দুঃসংবাদটা জানিয়েছেন রচনা। তিনি লিখেছেন, ‘আমার বাপি…ভাবিনি একদিন একা হয়ে যাবো। ভাবিনি তুমি চলে যাবে, এখনো অনেকগুলো বছর তোমাকে ছাড়া কাটাতে হবে। তোমার আশীর্বাদ আমাদের সাথে আছে আমি জানি। থাকবে। থাকতে হবে। তুমি ভালো থেকো বাপি’। রচনাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন অনুরাগীরা। মৃত্যু সবসময়ই বেদনা দায়ক। রচনা আবার মনের জোর সঞ্চয় করে নতুন ভাবে শুরু করুন, এই কামনাই করেছেন নেটিজেনরা।
প্রয়াত রবীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির সামনে শ্রদ্ধাভরে প্রণাম করতে দেখা যায় তাঁকে। ছবিগুলি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘রচনা ব্যানার্জির স্বর্গীয় পিতার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে। “বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি ও সশ্রদ্ধ প্রণাম”।’ নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ছবিগুলি শেয়ার করেছেন তিনি।
মদন মিত্রর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। এদিন সাদামাটা শাড়িতে একেবারেই হালকা সাজে দেখা গেল রচনাকেও। হালকা বেগুনি রঙা শাড়ি ও নীল সাদা চেক ব্লাউজে ম্লান মুখে লেন্সবন্দি হন তিনি। রচনার সেই চেনা পরিচিত প্রাণোচ্ছ্বল হাসিটাই উধাও হয়ে গিয়েছে। দেখে মন খারাপ অনুরাগীদেরও।