একুশের ভোটযুদ্ধে ভরাডুবির পর থেকেই গেরুয়া শিবিরে শুরু হয়েছে ভাঙন। দিকে দিকে দলত্যাগ করে তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। এমনকী ২০১৮ সালে যে জেলাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে বড়সড় জয় দিয়ে বঙ্গ বিজেপির দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছিল, সেই পুরুলিয়া জেলাতেই একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হচ্ছে বিজেপির। এরই মধ্যে রঘুনাথপুর-২ ব্লকের নীলডি গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হওয়ায় তাদের অস্বস্তি আরও বেড়েছে।
২০১৮ সালের গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে নীলডি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৫টি আসনে জিতে বোর্ড গড়েছিল। তৃণমূল পেয়েছিল ৪টি আসন। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপির নির্বাচিত সদস্যরা তলে তলে তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করে। তার জেরেই গত মাসে নীলডি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূল। চলতি মাসের ১২ তারিখ সেই অনাস্থার ওপর ভোটাভুটি হয় যেখানে ৬-৩ ভোটে হেরে যান পঞ্চায়েত প্রধান তথা বিজেপি।
এরপরেই ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রমণী মুর্মু সহ আরও এক বিজেপি সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। এবার সেই রমণী মুর্মুকেই পঞ্চায়েত প্রধান করে নীলডি গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়তে সক্ষম হল তৃণমূল। পঞ্চায়েত প্রধান হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পরে এদিন রমণী মুর্মু জানিয়েছেন, ‘প্রধান এলাকার কোনও উন্নয়ন করছিল না। এলাকার মানুষকে সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছিল। সেই কারনেই দলবদল করেছি। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।’