বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভোটের পর থেকেই এলাকায় আর দেখা মিলছে না ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা চৌধুরীর। এবার এমনই অভিযোগ করে থানায় নিখোঁজ ডায়রি দায়ের করল তৃণমূল যুব কংগ্রেস। শাসক দলের অভিযোগ, নিজের এলাকাতেই নাকি দেখা মিলছে না বিজেপি বিধায়কের! সেই যে নির্বাচন গিয়েছে, তারপর থেকে আর এলাকাতেই দেখা যায়নি শ্রীরূপাকে। এদিকে, সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়লে বিধায়ককে কাছে না পেয়ে তৃণমূল কর্মীদের কাছেই আসছেন। তাঁরা সাধ্যমতো চেষ্টাও করছেন কাজ করে দেওয়ার। সাহায্য করার। কিন্তু বিধায়কের অনুপস্থিতির জেরে ‘তীরে এসে তরী’ ডুবছে। তাই বাধ্য হয়েই প্রশাসনের সাহায্য চেয়ে থানায় গিয়ে একটি নিখোঁজ ডায়রি দায়ের করেছে যুব তৃণমূল নেতৃত্ব।
ঘাসফুল শিবিরের দাবি, বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী কলকাতায় থাকেন। মালদাতে থাকেনই না। তাঁকে ফোন করা হলে তিনি ফোনও ধরেন না। এলাকার মানুষের সঙ্গে কোনও যোগাযোগও রাখেন না। ফলে, সমস্যায় পড়লে সাধারণ মানুষ তাঁকে কাছে পান না। তাই সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই বিজেপি বিধায়কের নামে ‘নিখোঁজ’ পোস্টার তৈরির পাশাপাশি থানাতে গিয়েও অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। সেই পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘নিখোঁজ, সন্ধান চাই।’ সঙ্গে বিধায়কের ছবি। নীচে লেখা, ‘সৌজন্যে: ইংরেজবাজার শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেস’। অন্য আরেকটি পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘বিগত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে ইংরেজবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের নিঁখোজ বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর সন্ধানে দাবিতে মানববন্ধন।’ নীচে লেখা, ‘সৌজন্যে: ইংরেজবাজার শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেস’।
তৃণমূল ছাত্র-যুবের পক্ষে সুতীর্থ সাহা বলেন, ‘আমরা ইংরেজবাজারের স্থায়ী বাসিন্দা। গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে আমাদের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না৷ তাঁর মোবাইলে কল করলে কেউ ফোন ধরছেন না। তাঁর স্থায়ী ঠিকানায় অর্থাৎ বাড়িতে গেলেও কাউকে পাওয়া যায় না। স্থানীয় লোকজন যখন তৃণমূলের নেতাকর্মীদের শরণাপন্ন হচ্ছেন, তখন আমরা অন্য বিধায়কের সাহায্যে কাজ করানোর চেষ্টা করছি৷ কিন্তু আমাদের দুশ্চিন্তা হচ্ছে৷ কারণ, আমাদের বিধায়কের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আজ সংবাদমাধ্যমেও দেখলাম, তাঁর দলের কর্মীরাই নাকি জানেন না তিনি কোথায়! সেই কারণেই দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে প্রশাসনের কাছে বিধায়কের নামে মিসিং ডায়েরি করেছি আমরা।’