বৃহস্পতিবার রাজ্যে জোড়া পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন সাতজন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া ইন্টার্ন বাইপাসে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি পাথরবোঝাই ডাম্পার। অন্য ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবন পুলিশ জেলার ঢোলাহাট থানা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত তখন সাড়ে ৯টা। শিলিগুড়ির কাছে ইন্টার্ন বাইপাসের উপর দিয়ে যাচ্ছিল পাথরবোঝাই একটি ডাম্পার।
জলেশ্বরী বাজারের কাছে হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারান চালক। প্রথমে রাস্তার ধারে পরপর বেশ কয়েকটি দোকানে ধাক্কা মারে ডাম্পারটি। শেষে দু’টি দোকানের উপর গিয়ে সেটি উলটে যায়। ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ৪ জন। গুরুতর আহত হন ৪। প্রত্যেকেরই শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর।
জুমাইনস্কর-নিশ্চিন্তপুর রোডে ভবেরঠেকের কাছে বাঁক নেওয়ার সময় বাইকের চাকা পিছলে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি গাছে সজোরে ধাক্কা মারে মোটরবাইকটি। রাত পৌনে আটটা নাগাদ বিকট শব্দ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন।
দুর্ঘটনার কবলে পড়া মোটরবাইক ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিন যুবক সেলিম মোল্লা, সাকিল লস্কর ও হাসিবুল মীরের। তাঁরা প্রত্যেকেই হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার ১২ নম্বর লস্করের চকের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ঢোলাহাট থানার পুলিশ। রক্তাক্ত দেহ তিনটি উদ্ধার করে কাকদ্বীপ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রচন্ড গতিই দুর্ঘটনার কারণ বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, সুন্দরবন পুলিশ জেলার ঢোলাহাট থানার ভবেরঠেক এলাকায় ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তিন মোটরসাইকেল আরোহীর। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোটরবাইকে চেপে হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানা এলাকার তিন যুবক জুমাইনস্কর থেকে কাকদ্বীপের দিকে প্রচন্ড গতিতে যাচ্ছিলেন।