টুইট করে অভিনন্দনবার্তা জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। “আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, ১ কোটি মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার ল্যান্ডমার্ক পেরিয়ে গেল বাংলা সহায়তা কেন্দ্র। বিনামূল্যে একেবারে তৃণমূলস্তরে সরকারি সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাজ্যজুড়ে তৈরি হয়েছে ৩ হাজার ৫৬১টি বিএসকে। এই মাইলস্টোনের জন্য সকলকে অভিনন্দন।” বিএসকের পরিষেবাকে একেবারে তৃণমূলস্তরে পৌঁছনোর জন্য তাঁর এই অভিনন্দনবার্তা।
বিশেষজ্ঞ মহলের মত অনুযায়ী, সরকারি নানা পরিষেবা কীভাবে পেতে হয় তা নিয়ে সাধারণ মানুষের নানা প্রশ্ন থাকে। সরকারি অফিসে বার বার গিয়েও হয়রানির শিকার হতে হয় এমন অভিযোগও উঠেছে একাধিকবার। সেই হয়রানি দূর করতেই মমতার সরকারের উদ্যোগে তৈরি হয় বিএসকে। বিভিন্ন গ্রামে এই বিএসকে শাখা তৈরি হয়। এর জেরে সরকারি অফিসে গিয়েও পরিষেবা পাওয়া যায় না এই সংক্রান্ত ক্ষোভ অনেকটাই কমে যায়।
প্রসঙ্গত, বাংলা সহায়তা কেন্দ্র ধরনের সরকারি সহায়তা পাওয়ার অন্যতম স্থান। কন্যাশ্রী, জাতিগত শংসাপত্র, বাসস্থানের সার্টিফিকেট, ট্যাক্স জমা দেওয়া সহ নানা পরিষেবা পাওয়া যায় এই কেন্দ্রগুলি থেকে। রেশন সংক্রান্ত নানা তথ্যও মেলে এই বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকে। সরাসরি অফিসে না গিয়েও এই সেন্টারগুলির মাধ্যমে সরকারি সহায়তা পাওয়া সম্ভব। মূলত সরকারি পরিষেবাকে হাতের নাগালের মধ্যে যাতে সাধারণ মানুষ পান সেকারণেই এই বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলি তৈরি করা হয়েছিল।