ত্রিপুরা, গোয়া, হরিয়ানা সহ একাধিক রাজ্যের পর এবার মেঘালয় কংগ্রেসে বড় ভাঙন ধরাল তৃণমূল। তৃণমূলে যোগ দিলেন মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা-সহ ১২ জন কংগ্রেস বিধায়ক। ফলে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে এখন বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়ে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
প্রসঙ্গত, মেঘালয়ে বর্তমানে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ছিল ১৮। তাঁদের মধ্যে ১২ বিধায়কই যোগ দিলেন তৃণমূলে। ৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভায় এনডিএ-র ৪০ বিধায়ক। আর কংগ্রেসের দাঁড়াল ৬। উল্লেখ্য, ২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মুকুল সাংমা। বর্তমানে তিনি মেঘালয়ের বিরোধী দলনেতা। পূর্ব গারো পাহাড়ের প্রভাবশালী নেতা মুকুল দল ছাড়ায় মেঘালয়ে কংগ্রেসের চরম সর্বনাশ হল। আর অপ্রত্যাশিত ভাবে বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে চলল তৃণমূল।
বুধবার যোগদানের খবর খবর প্রকাশ্যে এলেও বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন মুকুল সাংমা। সেখানে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে বলেন, ‘বিরোধীদের মধ্যে মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ই পারেন বিজেপি-কে পর্যুদস্ত করতে। দেশের গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত। কিন্তু কংগ্রেস মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করে বিজেপি-কে ক্ষমতাচ্যূত করতে পারছে না। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই আমরা কাজ করব’।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন হরিয়ানা কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ অশোক তানওয়ার। প্রাক্তন ক্রিকেটার ও কংগ্রেস নেতা কীর্তি আজাদও তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন। কীর্তি বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৯-এ। কিন্তু লোকসভা ভোটে তিনি পরাজিত হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরে তৃণমূলের কাছাকাছি এসেছেন জাভেদ আখতার, সুধীন্দ্র কুলকার্নি ও পবন বর্মারাও। এবার ১২ বিধায়ক নিয়ে মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চলে এলেন তৃণমূলে।