ভোটপর্ব শুরু হতেই উত্তপ্ত ত্রিপুরা। বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা পুরভোট। এদিন সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ, চলবে বিকেল চারটে অবধি। তারই আগে আগরতলায় আক্রান্ত হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই পোলিং এজেন্ট। আহত কর্মীদের জিবি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে চিকিৎসার জন্য। অভিযোগ উঠেছে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তারও।
আগরতলার পুরভোট ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরায় জায়গা দখলের লড়াইয়ে নেমেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। আর তা নিয়েই ত্রিপুরায় শুরু হয়েছে সংঘর্ষ। এ দিন সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর আগে আগরতলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রে যখন মক পোলিং চলছিল, সেই সময়ই তৃণমূলের দুই এজেন্টের উপর হামলা চালায় বিজেপির বাইক বাহিনী, এমনটাই অভিযোগ। আক্রান্ত দুই তৃণমূলকর্মীর নাম কৃষ্ণ নুপুর মজুমদার ও মনোজ চক্রবর্তী। লাঠির আঘাতে তাদের মাথা ফেটে গিয়েছে। চিকিৎসার জন্য় আগরতলার জিবি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
আহতকর্মী কৃষ্ণনুপুর মজুমদার জানান, এদিন সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ যখন মক পোলিং চলছিল, সেই সময়ই আচমকা একটি বাইক বাহিনী চড়াও হয়। তাদের ভোট গ্রহণ কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসতে বলা হয় তাদের। বেরতেই তাদের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। ব্য়পক মারধর করে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপিই এই হামলা চালিয়েছে।
অপর তৃণমূল কর্মী মনোজ চক্রবর্তীও বলেন, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টেই নির্দেশ অনুযায়ীই ভেবেছিলাম যে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। সকালেই ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে বাইকে করে চড়াও হয় কিছু দুষ্কৃতী। তারা বলে যে বুথে বিজেপির এজেন্ট ছাড়া আর কেউ থাকতে পারবে না। এরপরই মারধর করে বের করে দেওয়া হয়’।
এদিকে, ওই কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থীও অভিযোগ জানান যে, গতকাল রাতে সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। তারা বাইক নিয়ে দোকান ভাঙচুর করে। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি, তারা কোনও পদক্ষেপই করেনি।