বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভয়ঙ্কর ছবি ধরা পড়ছে ত্রিপুরায়। আগরতলায় ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তপন বিশ্বাসকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। মারের চোটে ২টি চোখই নষ্ট হতে বসেছে। তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হতে পারে। প্রতিবাদে থানার সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভে বসেছে তৃণমূল।
রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর উপর নারকীয় হামলা। আগরতলার ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তপন বিশ্বাসকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। তাঁর চোখে ঘুসি মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। দুটি চোখ ফুলে উঠেছে। তাকে বেল্ট দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ করেছেন পরিস্থিতি। তাঁকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে আসা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এর আগেও সকালে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে লিটন বর্মন নামে এক তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল।
সকাল থেকেই ত্রিপুরার একাধিক বুথে অশান্তির ছবি ধরা পড়েছে। ৭, ৮, ৯, ১০ নম্বর বুথে তৃণমূল কংগ্রেেসর পোলিং এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ভোটারদের ভোট দানেও বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একাধিক জায়গায় প্রকাশ্যে ভোট লুঠ চলছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস। আগরতলার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বুথে রিগিং এবং ছাপ্পাভোটের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। এক মহিলা ভোটারের হয়ে ভোট দিয়ে দিচ্ছেন বিজেপি কর্মী এমন ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
ত্রিপুরা পুরভোটে একের পর এক অশান্তির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। অবিলম্বে ত্রিপুরায় অতিরিক্ত ২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রকে এই নিয়ে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবং পুরভোটের গণনার পর্যন্ত সেখানে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন রাখার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
পুরভোটের দিনও বিপ্লবদেব সরকারকে তীব্র নিশানা করেছেন সুদীপ রায় বর্মন। তিনি প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছেন ত্রিপুরায় গণতন্ত্র বিপন্ন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পুরভোটের আগেও প্রকাশ্যে বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করেছেন তিনি। ত্রিপুরায় বিজেপির সুনাম নষ্ট করছেন বিপ্লব দেব এমনই অভিযোগ করেছেন। সুদীপ রায় বর্মনকে মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ নেতা বলা হয়ে থাকে. কাজেই মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর সুদীপ রায় বর্মনের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগানের জল্পনা পারদ চড়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেননি। তবে বিপ্লব দেবের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে।