ত্রিপুরার ২০টি পুরসভার ৩৩৮ আসনের মধ্যে ১১২ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে বিজেপি। কোনও লড়াই ছাড়াই ৭টি পুরসভার দখল নিয়েছে তারা। বাকি ২২২টি আসনে ভোট হচ্ছে আজ। ইতিমধ্যেই আগরতলার সবকটি বুথকেই স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করেছে সে রাজ্যের নির্বাচন কমিশন। তবে তার পরেও বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতায় আসার পর এবার ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। আগরতলা পুরনিগমের ৫১ আসনে এই প্রথম প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। তাই বারবার আক্রান্ত হয়েও এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয় ঘাসফুল শিবির। এমনকী ত্রিপুরা নিয়ে জাতীয় স্তরেও সাড়া ফেলেছে তারা। সুপ্রিম কোর্টকে পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে তৃণমূলের আবেদনের প্রেক্ষিতে। তবে ভোটের দিনের আগের রাতেও তৃণমূল প্রার্থী-এজেন্টদের আক্রমণ করার অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে, ত্রিপুরা পুরভোটের উত্তাপ আন্দাজ করেই পুরভোটের সব ভোটগ্রহণ কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। ত্রিপুরার নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, মোট ৬৪৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৭০টিকেই অতি স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকি ২৭৪টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে আগরতলা পুরসভা, ১৩টি পুর পরিষদ এবং ৬টি নগর পঞ্চায়েতে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রিপুরার অতি স্পর্শকাতর বুথগুলির প্রতিটিতে রয়েছেন ত্রিপুরা সশস্ত্র বাহিনীর পাঁচ জন করে জওয়ান। স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত কেন্দ্রগুলিতে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলের চারজন করে জওয়ান রাখা হয়েছে। এর মধ্যে আগরতলার প্রতিটি বুথের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হচ্ছে। সেখানে কোনও পোলিং স্টেশনের মধ্যে থাকা একাধিক বুথের জন্য আলাদা করে টিএসআর মোতায়েন থাকবে।