মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৎপর প্রশাসন। উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের কচুয়া ও দেগঙ্গায় চাকলায় লোকনাথ মন্দির পরির্দশন করলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক, পুলিস সুপার-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরাও। পরিদর্শনের পর মন্দির চত্বরে বৈঠকও করেন মন্ত্রী।
পর্যাপ্ত শৌচালয়, রাস্তা-সহ মন্দির ও লাগোয়া এলাকায় বিভিন্ন পরিকাঠামো কীভাবে ঢেলে সাজানো যায়, সে বিষয়ে বৈঠকও সেরে নিলেন নিলেন। জানালেন, ‘নিরাপত্তা কারণে মন্দির সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। তৈরি করা হবে রাস্তা ও পাঁচিল’।
প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে কচুয়া ও চাকলায় লোকনাথ মন্দিরে বিপুল ভক্ত সমাগম হয়। জন্মষ্টমীতেও লোকনাথের মাথায় জল ঢালতে আসেন বহু মানুষ। বছর দুয়েক জন্মাষ্টমীর দিন রেকর্ড ভিড় হয়েছিল কচুয়ায়। রাতে বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে মন্দিরের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিলেন দর্শনার্থী।
এরপর যখন বৃষ্টি থামে, তখন মন্দির ঢোকার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। ভিড়ের চাপে ভেঙে পড়ে পাঁচিলের একাংশ। পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান ৩ জন। আহত হন কমপক্ষে ১৬ জন। এই ঘটনার পর মন্দির কমিটির সঙ্গে বৈঠকে করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
দিন কয়েক আগে মধ্যমগ্রামে উত্তর ২৪ পরগনার জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সেই বৈঠকে কচুয়া ও চাকলায় লোকনাথ মন্দিরের উন্নয়নে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন তিনি। এদিন উত্তর জেলাশাসক, বসিরহাট পুলিস জেলার এসপি, জেলা পরিষদের বন কর্মাধ্যক্ষ ও বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে দুটি মন্দিরই পরিদর্শন করলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।