তাঁকে নিয়ে গত দু’দিন ধরে উত্তপ্ত ছিল কলকাতা, আগরতলা এমনকি নয়াদিল্লীও। কলকাতায় মোমবাতি হাতে পথে নেমেছেন বুদ্ধিজীবীরা। আগরতলায় পৌঁছে গিয়েছেন স্বয়ং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে জামিনের তদারকি করেছেন। দিল্লীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র বাড়ির সামনে টানা ধর্নায় বসেছেন দলের সাংসদরা। বুধবার প্রত্যেককে তাঁর পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানালেন তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। ফেসবুকে শুভানুধ্যায়ীদের উদ্দেশে লিখলেন, ‘সকলের প্রার্থনায়, ভালবাসায় আজ আরও উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার সাহস পেলাম, এটুকু বলতে পারি।’
রবিবার ত্রিপুরা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার বিকেলে রাজ্যে ফেরেন সায়নী। বিমানবন্দরে নেমেই বলেছিলেন, দলের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ। বুধবার ফেসবুকেও লিখেছেন, তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ যাঁরা বিজেপির এই স্বৈরাচারে আহত হয়েও হার মেনে নেননি! ফেসবুকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের লেখাটির সঙ্গে নিজের একটি ছবি দিয়েছেন সায়নী। তাঁর নীল পাড় সাদা শাড়িতে মমতার ছবি দেওয়া ব্যাজ।
সায়নী লিখেছেন, ‘একান্ত ধন্যবাদ জানাই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তাঁদের সহযোগিতা আমার এগিয়ে চলার সাহস। ধন্যবাদ জানাই আমার প্রত্যেক বিধায়ক, সাংসদ, আমার সহকর্মীবৃন্দ, আমাদের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দকে যাঁরা জেলায় জেলায় আমার সমর্থনে পথে নেমেছেন।’
ত্রিপুরার পুরভোটে তৃণমূলের হয়ে প্রচার করতে গিয়ে রবিবার আগরতলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল সায়নীকে। প্রায় ২৪ ঘণ্টা লক-আপে থাকার পর সোমবার সন্ধ্যায় আগরতলার আদালতে জামিন পান তিনি। সায়নীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ছিল। এমনকি, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের উদ্দেশে কুরূচিকর মন্তব্যেরও অভিযোগ এনেছিল পুলিশ। সায়নীকে দু’দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে পুলিশ আদালতে আবেদন করে। কিন্তু আদালত সেই আর্জি খারিজ করে দেয়।