মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লী সফর ঘিরে কার্যত দুভাগ বঙ্গ বিজেপি। একদিকে এই সফরকে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, রাজ্য চালাতে পারছেন না মমতা। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে ভিক্ষা চাইতে দিল্লী গিয়েছেন তিনি। এর আগেও এমন মন্তব্য করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির মন্তব্যের সঙ্গে একমত নন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফরকে ‘গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে সৌজন্য’ হিসেবেই দেখছেন। ফলে এই নিয়ে ফের দলের মতানৈক্য সামনে চলে এল।
দিল্লী গিয়ে তৃণমূলে একের পর এক বড় যোগদান করিয়েছেন মমতা। বিজেপির তরফে অবশ্য বলা হয়েছে, এর আগে আসাম এবং দিল্লীতে প্রার্থী দিয়ে জমানত জব্দ হয়েছিল তৃণমূল প্রার্থীদের। আর এবার তিনি যেসব বিরোধী নেতাদের সঙ্গে দেখা করে যোগদান করাচ্ছেন, তাতে কিছুই হবে না। বিজেপি বিরোধী ফ্রন্ট গঠনের ডাক নিয়েও কটাক্ষ করা হছে গেরুয়া শিবিরের তরফে।
দিলীপ ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লী সফর এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা প্রসঙ্গ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, রাজ্য চালানোর টাকা নেই। তাই মোদীর কাছে ভিক্ষে চাইতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেই পারেন। ভারতের মতো দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোয় এটা সৌজন্য। আমরা তাঁর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছি’।
প্রসঙ্গত, এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিকেলে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, বিকেল ৫টায় দিল্লীতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে হবে সেই বৈঠক। তার আগেই অবশ্য রাজ্য বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠককে তীব্র কটাক্ষ করল।