আগামী বছরই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। আর মিথ রয়েছে, উত্তরপ্রদেশ যার, দিল্লীর মসনদ তার। তাই চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে ওই রাজ্যে জয় বিজেপির কাছে যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আগেরবারের থেকে আসন কমতে পারে বিজেপির। এই পরিস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরের ওপর আরও চাপ বাড়াতে বিজেপির প্রাক্তন জোটসঙ্গী ওমপ্রকাশ রাজভরের সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির সঙ্গে জোট করতে বাঁধতে চলেছে অখিলেশ যাদব সমাজবাদী পার্টি।
প্রসঙ্গত, ২০১৭-তে ওমপ্রকাশ রাজভরের সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি জোট করেছিল বিজেপির সঙ্গে। ৪০৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি জোট পেয়েছিল ৩২৫ টি আসন। এর মধ্যে আটটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এসবিএসপি পেয়েছিল চারটি আসন। ওমপ্রকাশ রাজভর নিজে গাজিপুরের জাজুরাবাদ থেকে জয়ী হয়ে প্রথমবারের জন্য বিধানসভায় গিয়েছিলেন। তাঁকে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের মন্ত্রীও করা হয়েছিল। কিন্তু গাজিপুরের জেলাশাসকের অপসারণের দাবিতে ধরনায় বসে মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের মোট জনসংখ্যার ৩-৪ শতাংশ রাজভর সম্প্রদায়ের। শতাংশের নিরিখে তা খুব কম হলেও, পূর্ব উত্তরপ্রদেশে এই সম্প্রদায়ের জনঘনত্ব বেশি। বেশ কয়েকটি আসনে এই সম্প্রদায়ের ভোট জয় পরাজয়ের নিষ্পত্তি করতে পারে। সেখানে এসবিএসপির প্রভাব শুধু রাজভরদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, অন্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণি চৌহান, পাল, প্রজাপতি, বিশ্বকর্মা ভর, মাল্লাদের মধ্যেও রয়েছে। পূর্ব উত্তরপ্রদেশে ১৮ টি জেলায় ৯০ টি আসন রয়েছে। সেখানে ২৫ থেকে ৩০ টি আসনে রাজভররা সংখ্যাগরিষ্ঠ। কোনও কোনও আসনে রাজভর ভোটারের সংখ্যা এক লক্ষেরও বেশি।
পূর্ব উত্তরপ্রদেশে ৯০ টি আসনের মধ্যে ২০১২ সালে বিজেপি পেয়েছিল ১৪ টি আসন। আর ২০১৭-তে রাজভরদের সঙ্গো জোটের পরে তারা পায় ৭২টি আসন। অন্যদিকে সপা ৫২ থেকে নেমে যায় ৯-এ। তবে এসবিএসপির দাবি রাজ্যের অন্তত ১৫০টি আসনে তাদের প্রভাব রয়েছে। যার মধ্যে ২০১৭-তে বিজেপি জোট জিতেছিল ১৪৬টি আসন। এসবিএসপির সাধারণ সম্পাদক তথা ওমপ্রকাশ পুত্র অরুণ রাজভর বলেছেন, সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোটেই তাদের কাঙ্খিত ফল আসবে। তাঁর আরও দাবি, এবারের নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশ থেকে বিজেপি ১০০টিরও কম আসন পাবে।