২০১৮ সালে রাশিয়াতে ফুটবল বিশ্বকাপ দেখার জন্য ১৯ হাজার ৩৫২টি টিকিট কেটেছিলেন ভারতীয়রা। যে সব দেশ বিশ্বকাপে অংশ নেয়নি তবুও সেই দেশের দর্শক বিশ্বকাপ দেখতে এসেছেন, এমন তালিকায় প্রথম পাঁচের মধ্যে ছিল ভারত। তালিকার শীর্ষে ছিল চীন। পরের বছর কাতারে সেই সংখ্যা ছাপিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। বিশ্বকাপের আয়োজক নাসের আল খাতের একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয়দের সংখ্যা বেশি হবে। অনেক সহজ হবে তাঁদের পক্ষে এ বার বিশ্বকাপ দেখা। ২০১০, ২০১৪, ২০১৮, প্রতিটা বিশ্বকাপে ভারতীয় দর্শকের সংখ্যা বাড়ছে। কাতারেও ব্যতিক্রম হবে না বলেই মনে হচ্ছে।”
যদিও যোগ্যতা অর্জন পর্বের শুরুতেই ছিটকে গিয়েছে ভারত। তাদের গ্রুপ থেকে কাতার এবং ওমান প্রথম দু’টি স্থান অর্জন করে। তবে তাতে দর্শকদের উৎসাহে যে ভাটা পড়বে না তা বলাই যায়। আগামী বছর দোহাতে বিশ্বকাপ দেখার জন্য দশ লক্ষের বেশি দর্শক আশা করছেন আয়োজকরা। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন কর্তৃপক্ষ। নাসের বলেন, “থাকার জন্য প্রচুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের থাকার ব্যবস্থা পাওয়া যাবে। আসল লক্ষ্য সফল ভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করা। সেই জন্য দর্শকদের কথা ভাবতেই হবে।” কাতারে মাঠগুলি কাছাকাছি হওয়ায় খুব বেশি বিমান যাত্রার ব্যাপারও নেই। এর ফলে গ্রুপ পর্বে একই দিনে একাধিক ম্যাচ দেখার সুযোগও পাবেন দর্শকরা। থাকার জায়গায় বিপুল চাহিদা রয়েছে। অনেকে পাশের দেশগুলিতেও থাকার চেষ্টা করছেন।