দেশজুড়ে মূল্যবৃদ্ধির প্রকোপে রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠেছে আমজনতার। রান্নার গ্যাস থেকে শুরু করে রোজকারের বাজার, আগুন দামে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। চড়া তেলের ধাক্কায় পরিবহণ থেকে কাঁচামালের বর্ধিত খরচ প্রায় সব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এবার তাতে যোগ হল মোবাইলের খরচ। সোমবার এয়ারটেল জানাল, কথা বলা (ন্যূনতম মাশুল-সহ), কথা বলার সঙ্গে ডেটার ব্যবহার এবং শুধু ডেটার ব্যবহা, তিন পরিষেবার বিভিন্ন প্রিপেড মাশুলই বাড়ছে আগামী শুক্রবার থেকে।
প্রসঙ্গত, ভোডাফোন আইডিয়া এবং রিলায়্যান্স জিয়ো-ও মাশুল বাড়াবে কি না, সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। তবে এডেলউইজ, জে পি মরগ্যান, ব্যাঙ্ক অব আমেরিকার মতো উপদেষ্টা সংস্থাগুলির মতে, একই পথে হাঁটবে বাকিরা। সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে, সাধারণ রোজগেরে এবং নিম্নবিত্তদের বড় অংশ প্রিপেড সংযোগ ব্যবহার করে থাকেন। তাঁদের দুর্ভোগ বাড়বে। তবে এয়ারটেলের দাবি, উন্নত পরিষেবা দিয়ে সুষ্ঠু ভাবে ব্যবসা চালাতে মাসে গ্রাহক পিছু গড় আয় এখন ন্যূনতম ২০০ টাকা ও আগামী দিনে ৩০০ টাকা হওয়া উচিত। সেই লক্ষ্যেই প্রথম পদক্ষেপ এটি। ফলে কথা বলার ন্যূনতম মাশুল (২৮ দিনের) ৭৯ টাকা থেকে বেড়ে হচ্ছে ৯৯ টাকা, অর্থাৎ বৃদ্ধি প্রায় ২৫%। অন্যান্য মাশুল হার বাড়ছে ২০-২১%।
উল্লেখ্য, মাশুল বৃদ্ধির ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন এয়ারটেল কর্ণধার সুনীল মিত্তল। ভোডাফোনের শীর্ষ কর্তা রবীন্দ্র টক্করও বলেছিলেন, তাঁরা এ নিয়ে কাজ করছেন। উপদেষ্টা সংস্থাগুলির দাবি, টেলিকম শিল্পে মাশুল বৃদ্ধি হওয়ারই ছিল। জে পি মরগ্যান বলছে, সংস্থাগুলির হাল ফেরাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে মাশুল বৃদ্ধির পরেও গ্রাহক পিছু গড় আয় ২০১৫-১৬ সালের থেকে কম থাকবে, যখন নতুন সংস্থা (জিয়ো) সস্তার মাশুল নিয়ে বাজারে আসায় গোটা শিল্প সংকটে পড়েছিল, মত এডেলউইজের।