অব্যাহত পদ্মশিবিরের শিরঃপীড়া। কয়েকদিন আগেই কল রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের। সেই রেকর্ডে স্পষ্ট শোনা গিয়েছিল রাজ্য বিজেপির পরিস্থিতি। “আগামী লোকসভা ভোটে নিজের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরই বাঁচাতে পারবেন না বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগামী লোকসভা ভোটে ৫০ হাজার ভোটে হারবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া তিন সাংসদ কোনও কাজের নয়। দিলীপ ঘোষ বড় বড় কথা বলছে, নিজের ওয়ার্ডে হেরে বসে আছে,” বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের কণ্ঠে বিস্ফোরক এই অডিও ক্লিপ চরম অস্বস্তিতে ফেলেছে বঙ্গ বিজেপিকে। এবার সেই কথার রেশ ধরে বিস্ফোরণ ঘটালেন তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মণ্ডল। তিনি দাবি করলেন, আগামী ছয় থেকে সাত মাসের মধ্যে বাংলার ১৮ জন বিজেপি সাংসদকেই দেখা যাবে তৃণমূলে! এই মন্তব্যের পর পথ স্বাভাবিকভাবেই চাপে গেরুয়া-নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন একসময়ের বিজেপি নেত্রী। সৌগত রায় ও কুণাল ঘোষের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিজেপির উদ্দেশে একের পর এক অভিযোগ করেছিলেন তিনি। সেদিনই সাংবাদিক বৈঠকে কান্নায় ভেঙে পড়ে বিবাহ বিচ্ছেদ চান তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, তৃণমূল ধ্বংস করে দেবেন। কিন্তু এবার পুরো উলটপুরাণ। বিজেপির বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন সৌমিত্র। সৌমিত্রের অডিও ক্লিপ ভাইরাল প্রসঙ্গে সুজাতা বলেন, “যিনি বলে থাকুন, ব্যাপারটা তো সত্যি। ২০০ পার করে সবাই তো মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য একেবারে মারামারি শুরু করে দিয়েছিলেন (বিজেপি নেতারা)। মিউজিক্যাল চেয়ার খেলা চলছিল। বাংলার মানুষ বিজেপিকে থাপ্পড় মেরে বুঝিয়ে দিয়েছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তারা মুখ্যমন্ত্রী চায়।” তার পর বিজেপি ২০২৪ লোকসভা ভোটে তিনটি আসন পাবে বলে সৌমিত্রের কণ্ঠে যে অডিও ভাইরাল হয়েছে, তা নিয়ে সুজাতা জানান, “সবচেয়ে বড় কথা, তিনি তো অনেক বেশি বলেছেন। (বিজেপি) একটি আসনও পাবে তো ২০২৪ সালে।”