দলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষের গ্রেফতারির পর গতকাল রাতেই আগরতলা যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। তবে রাতে বিমান অবতরণের অনুমতি না মেলায় পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনে আজ আগরতলা পৌঁছান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর সেখানে পা রেখেই ত্রিপুরায় পুরভোটের দিন সন্ত্রাস করতে পারে বিজেপি। সোমবার এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তবে কীভাবে সন্ত্রাস এড়াবেন তার উপায়ও বাতলে দিলেন তিনি। অভিষেকের পরামর্শ, ‘হাতে পদ্মফুল, মোদীর ছবি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তৃণমূলের বোতাম টিপে দিন। মুখে বিজেপি জিন্দাবাদ বলে তৃণমূলকে ভোট দিন।’
প্রসঙ্গত, আর কয়েকদিন পরই ত্রিপুরায় পুরভোট। এই প্রথমবার আগরতলা পুরসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তৃণমূল। অভিযোগ, প্রচারে গিয়ে একাধিকবার হামলার মুখে পড়েছে ঘাসফুল শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এমনকী, রবিবার তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর প্রতিবাদে সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন থেকে ত্রিপুরা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন অভিষেক। পাশাপাশি, ত্রিপুরার পুলিশ, প্রশাসনকেও কটাক্ষ করেন। তাঁর কথায়, ‘থানায় গিয়ে হামলা করছে বিজেপি। হাসপাতালের দুয়ারে গুণ্ডা পাঠিয়েছে। পুলিশ টেবিলের তলায় লুকোচ্ছে। তাঁদের দলদাস বানিয়ে দিয়েছে বিজেপি।’
অভিষেক জানান, ‘ত্রিপুরায় যা যা ঘটেছে তার সব ছবি-ভিডিও রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে জমা দিয়েছি। আশা করি সুবিচার হবে। গণতন্ত্রকে ধর্ষণ করছে।’ ‘খেলা হবে’ স্লোগান দেওয়ার ‘অপরাধে’ সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করায় অভিষেকের প্রশ্ন, ‘খেলা হবে স্লোগান দেওয়ায় সায়নীকে গ্রেফতার করা হলে প্রধানমন্ত্রী, বিজেপির অন্য নেতাদের কেন গ্রেফতার করা হল না? বাংলায় এসে তো প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রীরাও ‘খেলা হবে’ বলেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন?’ তাঁর দাবি, ‘ত্রিপুরায় দিনের আলোয় বেরনো মুশকিল। নিজের মত প্রকাশ করা যায় না এখানে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা তলানিতে ঠেকেছে। আর এই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতেই আমরা এখানে এসেছি। জিতে তারপরই রাজ্য ছাড়ব।’