ত্রিপুরার রাজনৈতিক অশান্তি এবার সুপ্রিম কোর্টে। তৃণমূলের দায়ের করা শীর্ষ আদালত অবমাননার মামলাটি গৃহীত হয়েছে সোমবার। মঙ্গলবার মামলার শুনানি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলে অনুমতি না দেওয়া, তৃণমূলকে বাধা দেওয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এদিনই মামলা দায়ের করেছে। তা গ্রহণ করে মঙ্গলবার শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে।
বিপ্লব দেবের রাজ্যে রাজনৈতিক অশান্তি নিয়ে এর আগে তৃণমূলের দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, পুরভোট অবাধ, সুষ্ঠুভাবে করতে হবে।
প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের যথাযথ নিরাপত্তা দিতে হবে। এ নিয়ে বিপ্লব দেব সরকারকে কার্যত কড়া বার্তাই দিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু দেখা গেল, কার্যক্ষেত্রে তা মেনে চলা হয়নি। বারবার আগরতলার পুরভোটে প্রচার করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছে তৃণমূল। এ রাজ্য থেকে যাওয়া তৃণমূল নেতৃত্ব তো বটেই, হামলা চলেছে স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থীদের উপর। এমনকী রেহাই পাননি মহিলারাও। থানার দ্বারস্থ হলে মহিলা তৃণমূল প্রার্থীকে চ্যাংদোলা করে সেখান থেকে বের করে দেওয়ার ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে।
এসবের পর রবিবার সবচেয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আগরতলা। তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ প্রচারে বেরিয়ে হিংসা ছড়িয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের উদ্দেশে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন, গাড়ি চাপা দিয়ে খুনের চেষ্টা করেছেন – এমন হাজারও অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। দিনভর দফায় দফায় বিজেপি-তৃণমূল রাজনৈতিক সংঘর্ষে অশান্তি, আতঙ্ক জারি ছিল আগরতলায়। তার মধ্যে সায়নীকে গ্রেপ্তার করায় আগুনে ঘি পড়ে।
সোমবারই দিল্লি গিয়ে সুপ্রিম কোর্টে নালিশ জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এদিন সকালে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে। তা গৃহীত হয়েছে। মঙ্গলবার শুনানি হবে বলে খবর। বিষয়টি নিয়ে সুবিচারের আশা করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।