মুখ পুড়ল পদ্মশিবিরের। জামিন পেয়ে মুক্ত হলেন তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। সোমবার বিকেল পৌঁনে ৫টা নাগাদ সায়নীকে পেশ করা হয় আগরতলা আদালতে। পুলিশ সায়নীকে দু’দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে। তবে শুনানির পর তাঁকে জামিন দেন বিচারক। রবিবা সায়নীকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই উত্তপ্ত হতে থাকে রাজ্য-রাজনীতি। ক্ষোভে ফেটে পড়ে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করেন, ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোমবারের সভা বানচাল করতেই পরিকল্পনা করে এই সব করা হয়েছে। আগামী ২৫শে নভেম্বর আগরতলায় পুরসভা ভোট। তার আগে মঙ্গলবারই প্রচারের শেষ দিন। অভিষেকের সভা যে সোমবার হবে তা আগে থেকেই ঠিক ছিল। তৃণমূল জানায়, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবেই শেষমুহূর্তের প্রচার বানচাল করা হয়েছে ত্রিপুরা প্রশাসনের তরফে।
সোমবার সকালেই ত্রিপুরায় পৌঁছন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। আগরতলা বিমানবন্দরে নেমেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সরকারকে একহাত নেন অভিষেক। তিনি বলেন, “ত্রিপুরায় নৈরাজ্য চলছে। সায়নী শুধু খেলা হবে স্লোগান দিয়েছিলেন। সেই স্লোগান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও দিয়েছিলেন। তবে কি মোদীকে গ্রেপ্তার করা হবে?” সায়নী গ্রেপ্তার করার আগে ত্রিপুরায় তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলাকারীদের কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি তাও জানতে চেয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। পরে বিমানবন্দর থেকে সোজা পৌঁছে যান হোটেলে। সেখানে তৃণমূলের দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সায়নীর জামিন প্রক্রিয়া নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠক করেন আইনজীবীদের সঙ্গেও। অন্য দিকে, সায়নীর গ্রেপ্তারি নিয়ে দিল্লীতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূলের সাংসদরাও। সায়নীকে গ্রেপ্তারের বিষয় এরপরই ত্রিপুরা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।