কমছে না আক্রমণ। দিনের পর এবার রাতেও ত্রিপুরায় আক্রান্ত হল তৃণমূল। থানার মধ্যে ঢুকে তৃণমূল কংগ্রেসের উপর ফের হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। এক সাংবাদিককে মেরে রক্ত ঝরানো হয়েছে। রীতিমতো ভয়ের মধ্যে আছেন তিনি। তৃণমূল জানিয়েছে, রাতে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানার একাংশ অন্ধকার করে সায়নীকে বের করে আনা হয়। সুবল ভৌমিকের বাড়িতে চালানো হয় ভাঙচুর। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের দাবি, ত্রিপুরায় জঙ্গলরাজ চলছে। ভয়াবহ অবস্থা ত্রিপুরার। গুন্ডারাজ চলছে। টুইটারে তিনি বলেন, “আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় আবার ঢুকে এসে মারছে বিজেপি। জখম একাধিক। জীবন-মরণ সমস্যা আমাদের। সায়নীকে (ঘোষ) নিরাপত্তার অভাবে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানা থেকে অন্য থানায় (নাম লিখছি না) নিয়ে গেল পুলিশ। পূর্ব থানায় জীবনমরণ সমস্যা। বিজেপি সশস্ত্র। ঘিরে। সভা করছে। বাজি ফাটাচ্ছে। বোমা, গুলির আওয়াজ ঢাকার চেষ্টা? জানি না আমরা বাঁচব কিনা। আমাদের মারলে মারুক, মানুষ বিচার করুন।”
প্রসঙ্গত, আর দিনচারেক পরেই আগরতলায় পুরসভা নির্বাচন। তার আগে রীতিমতো তাণ্ডব চলছে আগরতলায়। রবিবার সায়নীকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সায়নী ঢোকার পরই থানা লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হয় তৃণমূল নেতা সুবলের গাড়িতে। লাঠি হাতে হেলমেট পরে আক্রমণ চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই তৃণমূলের অভিযোগ, রাতে ফের থানায় ঢুকে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। তার আগে বিকেলের দিকে গ্রেফতার করা হয়েছে সায়নীকে। বিষয়টি নিয়ে দিল্লীতেও সরব হতে চলেছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছে তৃণমূলের ১৫ জনের বেশি সাংসদের একটি প্রতিনিধিদল। একটি মহলের দাবি, ত্রিপুরার তাণ্ডব নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও যাচ্ছে তৃণমূল। বিষয়টি নিয়ে এখনও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।