এবার ত্রিপুরায় তৃণমূল যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার এবং তৃণমূলের ওপর ধারবাহিক হামলার প্রতিবাদে ফের একবার ফের গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেলেই দিল্লী যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। আর এদিনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রক, নর্থ ব্লকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তৃণমূল। সেই বিক্ষোভ যে মমতারই মস্তিষ্কপ্রসূত, তাও স্পষ্ট হয়ে গেল এদিন।
এদিন তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরাতে যা হচ্ছে, সবাই দেখছে। ত্রিপুরাতে গণতন্ত্র নেই। এখন কোথায় গেল হিউম্যান রাইটস কমিশন? ত্রিপুরা নিয়ে তো সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। তা সত্ত্বেও সেই নির্দেশ মানা হচ্ছে না। আমাদের সাংসদরা গতকাল থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সময় চাইছেন। কিন্তু সময় দেওয়া হয়নি।’ এরপর যদিও মমতা জানান, ‘আমি বারণ করেছিলাম ওঁর বাড়ির সামনে অবস্থান করতে। হোম মিনিস্টার বিজেপির। তবুও তিনি তো একটা চেয়ারে আছেন।’
এদিন নিজের দিল্লী সফর নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিএসএফ-এর ইস্যু নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি। গায়ের জোরে কিছু দখল করতে দেব না। আমি বারণ করেছিলাম। বিএসএফ-কে আমি সন্মান করি। আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করব। বিএসএফ ও অন্যান্য ইস্যু নিয়ে আলোচনা করব।’ তিনি এ-ও বলেন যে, ‘এয়ারপোর্ট থেকে আমি সাংসদদের সঙ্গে দেখা করতে যাব। আমি ধর্নাতে যোগ দেব না।’
দলের যুবনেত্রীর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘সায়নীর সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। আমাদের এখানে তো ওদের অনেক নেতা এসেছে। আমরা তো বাধা দিইনি। এখানে কত কিছু ব্যবহার করা হয়েছিল। এবার ত্রিপুরা ইস্যু নিয়েও আমি কথা বলব। কেন্দ্র ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। কিন্তু আমি তা হতে দেব না।’ তাঁর অভিযোগ, ‘উত্তরপ্রদেশে যা চলছে, ত্রিপুরাতেও তাই চলছে। থানায় বসে হামলা করা হয়েছে। বিজেপি রাজ্যে ভোট হয় না।’