ত্রিপুরায় সায়নী, কুণালদের হোটেলে পুলিশের হানা। সায়নী ঘোষকে থানায় তলব করা হল। যদিও তৎক্ষনাৎ সায়নীকে থানায় তুলে নিয়ে যেতে বাধা দেন কুণাল ঘোষ। এরপরেই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পরেন তৃণমূল নেতারা।
আগরতলার যে হোটেলে সায়নী সহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতারা রয়েছেন সেখানে রবিবার হানা দেয় আগরতলা থানার পুলিশ। তাদের অভিযোগ সায়নী ঘোষের গাড়ি ধাক্কা মেরেছে এক ব্যক্তিকে। এছাড়াও সভায় কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সায়নীর সঙ্গে কথা বলে তাঁকে থানায় নিয়ে যেতে চায় পুলিশ। কুণাল ঘোষ বাধা দিয়ে বলেন কোনও মহিলাকে এইভাবে বিনা নোটিশে তুলে নিয়ে যাওয়া যায় না। পুলিশ সেই নোটিশ দেখাতে না পারায় কুণাল জানিয়ে দেন যে সায়নীকে নিয়ে পরে থানায় যাবেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
এরপরেই কুণালের অভিযোগ একজন মহিলাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে পারেনি পুলিশ। এছারাও সায়নীর বিরুদ্ধে কি মামলা রয়েছে সেই বিষয়েও সঠিক কোনও তথ্য দিতে পারে নি তারা। সায়নী ঘোষ এবং সুস্মিতা দেব কে সঙ্গে নিয়ে থানায় যান কুণাল ঘোষ। তাদের সঙ্গে রয়েছেন তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃত্ব। তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপির কথায় সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় সায়নীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে পুলিশ।
তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে কিছুক্ষন আগেই মাথায় হেলমেট পরে বিজেপি কর্মীরা জড়ো হয়েছে পূর্ব আগরতলা থানার বাইরে। থানা লক্ষ্য করে ঢিল ছুঁড়ছেন তাঁরা। দুই দলের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে গেলে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। জানা গেছে গুরুতর আহত হয়েছেন নির্মল শর্মা,প্রবীর বৈদ্য,আল্পনা দেব বর্মা এবং রাজেশ সাহা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি নেতা নবেন্দু ভট্টাচার্য জানিয়েছেন থানার বাইরে সাধারন মানুষ জড়ো হয়েছেন। তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব জানিয়েছেন, শনিবার তেলিয়ামুরার সভায় সায়নী নিজের গাড়ি থেকেই সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন খেলা হবে। এর পরেই বিজেপি সমর্থকরা তার গাড়ি তারা করে।